নিজস্ব প্রতিবেদক
কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তার মা-বাবাসহ পরিবারের ৬ সদস্য ঘরের মধ্যে অবস্থান করছিলেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে লাগা এ আগুন ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিযোগ করেছেন কাফি। এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কলাপাড়ায় পায়রা সমুদ্র বন্দর জিরো পয়েন্ট-সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামের বাড়িতে ওই আগুনের ঘটনা ঘটে। পরে কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ২ ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নুরুজ্জামান কাফির বাবা মাওলানা মো. এ বি এম হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বাইরে থেকে দরজা আটকে ঘরে আগুন দেওয়া হয়। আমাদের আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্যই এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এর তদন্তপূর্বক বিচার চাই। আগুন লাগার পর আমরা যে যার মতো করে দরজা ভেঙে বের হয়েছি, কিছু নেই। সব শেষ হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগুনে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
কাফির প্রতিবেশী ওয়ালি উল্লাহ ইমরান করেন, ‘এই আগুন সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে। কারণ, জানালার বাইরে থেকে ছিটকিনি লাগানো ছিল। বাড়ির সবাইকে এক কাপড়ে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে। কোনোরকম জানে বেঁচে গেছেন তারা।’
কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস হোসাইন বলেন, ‘রাত সোয়া ২টার দিকে আমাদের মোবাইলে কল আসে নুরুজ্জামান কাফির বাসায় আগুন লেগেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা দ্রুত আগুন লাগার স্টেশনে চলে যাই। যাওয়ার পর দেখি আগুন সিলিংয়ে উঠে গেছে। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হই। পাশের গোয়াল ঘরটাকে নিরাপদ রাখতে পেরেছি। মানুষের কোনো ক্ষতি হয়নি। বাড়ির সবাই নিরাপদে ও অক্ষত আছে।’
উল্লেখ্য, কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার রজপাড়া গ্রামে। তার বাবা রজপাড়া দ্বীন-এ এলাহী দাখিল মাদরাসার সুপার। তারা দুই ভাই। তিনি করোনাকালে ভাঙা একটি বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে মাটিতে বসে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলে আলোচনায় আসেন।