ঈদে নিজেরাই বাসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বাড়ি যাবেন: ডিএমপি কমিশনার
মার্চ ৮, ২০২৫
চাঁদপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
মার্চ ৯, ২০২৫

চাঁদাবাজির মামলায় সমন্বয়কসহ ৭ জন কারাগারে, ৭ শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক
শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও ৩ লাখ টাকা চাদাঁবাজির অভিযোগের মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজধানীর কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমাসহ (২৪) সাত জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর  সাতজন শিশু হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো অপর আসামিরা হলেন—সাইফুর রহমান রিয়েল খান (২১), সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস (২৫), ছাব্বির আহম্মেদ আবির (১৯) এবং ফারহান (২৫)।

যাদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন—ইমন (১৫), পারভেজ হাওলাদার (১৬), হৃদয় হোসেন আকাশ (১৭), নাইম হাওলাদার (১৭), আরাফাত আহম্মেদ (১৪), রুবেল মিয়া (১৬) এবং শেখ রাব্বি (১৪)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার সাব-ইন্সপেক্টর তারেক মোহাম্মদ মাসুদ শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।

কলাবাগান থাকার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় করা মামলায় ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে সাত জন শিশু, অপর সাত জন প্রাপ্তবয়স্ক।  সাত শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তাদের বিষয়ে নারী ও শিশু আদালতে শুনানি হবে। অপর সাত আসামির জামিনের আবেদন ছিল। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এদিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, রাজধানীর পান্থপথে ত্রিধারা টাওয়ারের  তিন তলায় শেখ কবির কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৭ জন পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। ভয়ভীতি প্রদর্শন ও বেআইনি বলপ্রয়োগ করে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করে। সেখানকার পিয়ন ইয়াসিন মৃধা তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলেন, ‘তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে আমাদের চাঁদা দিতে হবে।’ তিনি এর প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যানা আসবাবপত্র ভাঙচুর করার মাধ্যমে ত্রাস সৃষ্টি করে এবং অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার যার মূল্য দুই লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে আসামিদের মধ্যে কয়েকজন অন্যত্র রেখে আসে। অফিস পিয়নের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ আসামিদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে  নগদ ৩১ হাজার ১৫০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ৮৪টি কয়েন, দুটি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত চাকু জব্দ করে। পরে ইয়াসিন মৃধা কলাবাগান থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *