আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে রাশিয়া স্বীকৃতি দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সসহ মিত্রদেশগুলো সোমবার রাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের অনুরোধ করেছে। জাতিসংঘের দুইজন কূটনীতিক সিএনএন-কে এ তথ্য জানান।
কূটনীতিকরা জানান, ইউক্রেন থেকে জাতিসংঘে পাঠানো চিঠি সূত্রে জানা গেছে, জরুরি বৈঠকের অনুরোধ জানানো দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, আয়ারল্যান্ড ও আলবেনিয়া।
এটি একটি উন্মুক্ত অধিবেশন হবে, যেখানে রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব সদস্য দেশগুলি বিবৃতি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, আমরা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের জন্য ইউক্রেনের আহ্বানকে সমর্থন করি। নিরাপত্তা পরিষদ দাবি রাখে, রাশিয়া জাতিসংঘের সদস্য দেশ ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানাবে।
তিনি বলেন, আজ ক্রেমলিনের নেওয়া পদক্ষেপগুলো মিনস্ক চুক্তির একটি ঢালাও প্রত্যাখ্যান এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুল্যুশন ২২০২ (২০১৫) এর লঙ্ঘন। রাশিয়ার ঘোষণা থিয়েটার ছাড়া আর কিছু নয়, দৃশ্যত ইউক্রেনে আরও আক্রমণের জন্য একটি অজুহাত তৈরির নীলনকশা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের দুই বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে এ ঘোষণা দেন তিনি।
পুতিন বলেন, আমি মনে করি বহু কালাতিক্রান্ত হলেও একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন, অবিলম্বে দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক-এর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেওয়া।
এরপর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে পুতিনকে ক্রেমলিনে বিদ্রোহী নেতাদের সঙ্গে পারস্পরিক সহায়তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে দেখা গেছে।
স্বঘোষিত দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিক রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহীদের আবাসস্থল। তারা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।
রাশিয়ান সৈন্যদের উভয় অঞ্চলে তথাকথিত ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রম’ পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: সিএনএন
সিটিনিউজ সেভেন//আর//