বিশ্বে করোনায় মৃত্যু সাড়ে তিন হাজারের বেশি, কমেছে শনাক্ত
মার্চ ২০, ২০২২
বাংলাদেশসহ ৩ দেশে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’
মার্চ ২০, ২০২২

ফ্যামিলি কার্ডে টিসিবির খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু আজ

স্টাফ রিপোর্টার:
পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্য চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও চিনিসহ অন্যান্য পণ্যের দাম। জরুরি খাদ্যপণ্যের বাড়তি মূল্যের চাপে দিশেহারা মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে তুলনামূলক কম দামে নিত্যপণ্য কিনতে দেশের ১ কোটি পরিবারকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দিয়ে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

সেই উদ্যোগ অনুযায়ী আজ রোববার (২০ মার্চ) থেকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে জরুরি খাদ্যপণ্য আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্রি করা হবে।

প্রতিটি পরিবার কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে একসঙ্গে পাঁচটি পণ্য নিতে পারবে। প্রথম ধাপে আজ থেকে ১ কোটি উপকারভোগী পরিবার ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা দরে ২ কেজি চিনি ও ৬৫ টাকা দরে ২ কেজি মসুর ডাল নিতে পারবে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে তিনটি পণ্যের সঙ্গে ৫০ টাকা দরে দুই কেজি ছোলা যুক্ত হবে।

এ উপলক্ষে গত শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে টিসিবির পণ্য পৌঁছে দিতে সুবিধাভোগী পরিবারের তালিকা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় স্থানীয় জনসংখ্যা ও দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় রেখে এ তালিকা করা হয়েছে। এখন তাদের মধ্যে কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিতরণের আগের দিন সংশ্লিষ্ট পরিবারের কার্ডধারীদের পণ্য বিক্রির স্থান ও সময় জানানো হবে। এ উদ্যোগে ১ কোটি পরিবার টিসিবির পণ্য পেলে প্রায় ৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবে।

টিসিবি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ে সুবিধাভোগীদের কার্ড দেওয়া হয়েছে। তবে ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকার ১২ লাখ ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৯০ হাজার পরিবারকে কার্ড দেওয়া সম্ভব হয়নি। আগের মতোই টিসিবির খোলা ট্রাকের মাধ্যমে তাদের মধ্যে পণ্য বিক্রি করা হবে। করোনাকালে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে নগদ সহায়তা দিতে যে ডেটাবেজ হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৩০ লাখ পরিবারকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় ৫৭ লাখ ১০ হাজার উপকারভোগীর তালিকা করা হয়েছে। পরে এসব পরিবারের মধ্যে ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হয়।

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *