স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, ব্যক্তিগতভাবে ইভিএম নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে। যেহেতু আমি টেকনিক্যাল লাইনের ছাত্র ছিলাম এবং চাকুরিও ছিলো। ইভিএম সর্ম্পকে যতোটুকু বুঝি প্রশাসনের পক্ষ থেকে যারা ইভিএম পরিচালনা করবেন, তাদের তরফ থেকে এটার মাধ্যমে কারচুপি করা সম্ভবনা আছে এবং সম্ভব। তার কোন প্রমান আমাদের সিস্টেমে রাখার পদ্ধতি বা উপায় নেই।
এমনকি ইভিএম নির্বাচনে কেউ চ্যালেঞ্জও করতে পারে না, কারণ ব্যালট পেপার থাকে মেশিনের ভিতরে। একান্ত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভোটিং মেশিন যে রেজাল্ট দিবে, তাই ঘোষণা হবে। বিষয়টি হচ্ছে, এমন দেশের মানুষকে চাঁদে পাঠাতে চাচ্ছে সরকার কিন্তু সেখানে বসবাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে গণতন্ত্রের স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। বিরোধীদলীয় উপনেতা আরো বলেন, প্রশাসন যদি এটার মাধ্যমে কাউকে জেতাতে চায় কাউকে হারাতে চায় তাহলে প্রশাসন সেটা ইভিএমের মাধ্যমে করতে পারবেন। এমন কি যার কোন প্রমান থাকবে না। যার বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা সহজ সাধ্য হবে না বলে জানালেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমাদের দেশের পরিস্থিতিতে নিরক্ষরতার জন্য নির্বাচনে যে দেশে নামের পাশে প্রতিক ব্যবহার করতে হয় কারণ,সবাই প্রার্থীর নাম পড়ে ভোট দিতে পারে না। এমন বাস্তবতায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া যুক্তি যুক্ত হবে না। তিনি আরো বলেন,শুধু ইলেকশন কমিশনার নয়,আমাদের দেশে যতোগুলো সাংবিধানিক যতো পদ এবং প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর নিয়োগ করেন রাস্ট্রপতি। রাস্ট্রপতির কাছে থেকে কোন কিছু আসলেই আমাদের সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। দুটি কাজ ছাড়া সব কাজ রাস্ট্রপতিকে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে করতে হয়। কোন কিছু যদি সংসদে পাঠানো হয় তার অর্থ প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্য। প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিলেই হবে। কোন কিছু যদি রাস্ট্রপতির কাছে দেওয়া হয় সেটাও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির জন্যই দেওয়া হয়। তাই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সবগুলো প্রধানমন্ত্রী তাদের নিয়োগ দিতে পারেন, অপসারন ক্ষমতাটা একবার নেওয়ার পরে তা কোর্টের ওয়ার্ডারে বাতিল হয়েগেছে, সেটা যদি তিনি বহাল করতে পারতেন সেটাও তিনি করতেন। এছাড়াও জনবলকাঠামো অর্থায়ন সব কিছুতেই প্রধানমন্ত্রীর প্রভাব সরাসরি প্রভাব বিস্তার করার সুযোগ রয়েছে। সেখানে এধরনের প্রশাসনের অধিনে যখন নির্বাচন কমিশন থাকে এবং সব কিছুতেই প্রধান নির্বাহী বা প্রধানমন্ত্রীর মুখাপেক্ষি হতে হয়, সেখানে তাদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা খুবই দূরুহ । তারা হয়তো একটি কাজ করতে পারেন, আমার ব্যক্তিগত ধারণা সেটা হলো নির্বাচনগুলোকে বানচাল ঘোষণা দিতে পারে,যদি তারা চান এবং সে ধরনের মনোবৃত্তি থাকে। জি এম কাদের আরে বলেন, নির্বাচনটি ভালো হয়নি আমরা এটা গ্রহণ করলাম না করতে পারেন । পুনরায় আবার নির্বাচন হতে পারে। ১০বার ৫০বার হলেও নির্বাচনের সঠিক ফলাফল ঘোষণা দিতে হবে যদি সরকার না চান তাহলে তাদের পক্ষে সেই কাজটি তাদের পক্ষে করার সম্ভবনা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন ।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//