স্পোর্টস ডেস্ক:
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন সকালে ২৪ আনেই যখন ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তখন কে ভেবেছিলো বাংলাদেশের ইনিংস এতোদূর আসবে। সেই ধ্বংসস্তূপ থেকেই টাইগার ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম আর লিটন দাস। সেঞ্চুরি ম্রেছেন দুজনই। অবশেষে দ্বিতীয় দিন সকালে ২৭২ রানের ইতিহাসগড়া জুটি ভেঙে কাসুন রাজিথার বলে লিটন আউট হলেও আরেক প্রান্তে অবিচল থেকে গেছেন মুশফিক। নিজের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেড়শ রান তুলে নিয়েছেন মি. ডিপেন্ডেবল।
দ্বিতীয়দিন সকালে বাংলাদেশের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে উঠেছেন মুশফিক। সকালে শুরুটা ভালো ইঙ্গিত দিলেও মাত্র আট ওভার পরেই রাজিথার এক ওভারে জোড়া আঘাতে দ্রুতই ফিরে গেছেন ২৪৬ বলে ১৪১ রান করা লিটন আর প্রায় তিন বছর পর টেস্ট খেলতে নামা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ফিরেছেন খালি হাতেই।
আবারও যখন বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম দিন সকালের প্রতিচ্ছবি দেখা দেয়ার আভাস সেখা থেকেই একপ্রান্ত আগলে টাইগারদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক। ২৯৬ রানে ৭ উইকেটের পতন হলে সেখান থেকে তাইজুল ইসলামকে সাথে নিয়ে আবার প্রতিরোধ শুরু করেন মুশফিক। অক্লান্ত ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে ২৯১ বল মোকাবেলা করে বলে দেড়শ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
রমেশ মেন্ডিসের লেগ স্টাম্পের বলকে স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে দুই রান নিয়ে টেস্টে নিজেওর পঞ্চম দেড়শ রানের ইনিংস খেলার পর ব্যাট তুলে অভিবাদন জানান মুশফিক। আগের দিন লিটনকে সঙ্গে নিয়ে ২৪ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশ ইনিংসের হাল ধরেছিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//