স্টাফ রিপেোর্টার:
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের দ্বিতীয় ধাপে ১৪০ উপজেলার বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ আজ সোমবার (১৩ জুন) থকে শুরু করতে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বিতীয় ধাপের এ হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত।
ইসি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে রাজধানীর উত্তরা, মতিঝিল ও রমনা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ছবি তোলা ও ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম চলবে। অবশিষ্ট উপজেলাসমূহের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্থানীয়ভাবে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রমের সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।
কর্মকর্তারা জানায়, এর আগে গত ২০ মে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করে ইসি। প্রথম ধাপেও ১৪০টি উপজেলায় কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট চার ধাপে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, এবার ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের এবং বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদেরও নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এদের মধ্যে কারো বয়স ১৮ না হলেও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। যাদের বয়স ১৮ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় তাদের নাম যুক্ত হয়ে যাবে।
কর্মকর্তারা জানান, এবারের হালনাগাদ কার্যক্রমে ভোটার বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৪ লাখ ৯৬ হাজার ৫২৬ জন ব্যক্তিকে হালনাগাদের অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। এবারও গতবারের মতো তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হচ্ছে।
সর্বশেষ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়েছিল ২০১৯ সালে। সে সময় ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের তথ্য নেওয়া হয়েছিল। সে সময়ও তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়েছিল।
কোটি মানুষের স্বপ্নের নাম এখন পদ্মা সেতু। এটি কেবল সেতু নয়, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্র আর আত্মমর্যাদার প্রতীক; যা নিয়ে দেশে-বিদেশে কৌতূহলের শেষ নেই। আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত সেতুটি। ২৬ জুন সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে। তবে সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরে নাশকতা বা ধ্বংসাত্মক কিছু ঘটিয়ে জণগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে পারে বলে মনে করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, পদ্মা সেতু আওয়ামী লীগ সরকারের একটি বড় সাফল্য। সেতুটি নির্মাণের শুরু থেকেই সরকারবিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশে-বিদেশে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে, ষড়যন্ত্র করছে। সেতুর উদ্বোধনকে ঘিরেও নাশকতার অপচেষ্টা চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) হায়দার আলী খান গণমাধ্যমকে বলেন, সেতুকে ঘিরে দেশের বাইরে থেকেও উসকানি দেওয়া হচ্ছে। দেশের ভেতরেও কেউ এ ধরনের কাজ করতে পারে। আমরা তাদের মনিটরিং করছি। সে অনুযায়ী ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সারা দেশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব জায়গায় বড় পর্দায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখানো হবে সেসব জায়গায় নজদারি বাড়ানো হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যারা অনুষ্ঠানস্থলে আসবেন তাদের চলাফেরা নির্বিঘ্ন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
হায়দার আলী বলেন, কেউ নাশকতার পরিকল্পনা করে থাকলেও সেটা সফল হবে না। ষড়যন্ত্রকারীদের আমরা ইতোমধ্যে নজরদারিতে এনেছি। আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//