রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন রশিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি (৩৮)। এ সময় আহত স্ত্রী-সন্তানদের হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা গেছে বড় সন্তান।
সোমবার (২০ জুন) সকালে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার ৮ নম্বর কৈকুড়ি ইউনিয়নের মোংলা কুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বড় মেয়ের নাম রাফিয়া (১১)। তার মা ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা জেসমিন আক্তার ও বোন সুমাইয়া (৫) গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। একই সঙ্গে তার বাবা রশিদুল ইসলামও সেখানে ভর্তি রয়েছে।
জানা গেছে, রশিদুল ইসলামের সঙ্গে ২০০৮ সালে জেসমিন আক্তারের বিয়ে হয়। তবে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে স্ত্রী জেসমিন আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল রশিদুল ইসলামের। রোববার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে আবারো ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তিনি দা দিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এ সময় তার বড় মেয়ে রাফিয়াকেও কুপিয়ে আঘাত করেন। এরপর ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে মারধর করে। এরপর রশিদুল ইসলাম বিষপান করে নিজের গলা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলেন। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে রশিদুল, স্ত্রী জেসমিন ও অপর মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র জানান, রশিদুল তার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//