পরিসংখ্যানে কে এগিয়ে, জার্মানি নাকি স্পেন
নভেম্বর ২৭, ২০২২
রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান, গ্রেপ্তার ৫৮
নভেম্বর ২৭, ২০২২

মশার নিধন কার্যক্রম বছরজুড়ে পরিচালনা করতে হবে

মোঃ জাকির হোসেন:

এ বছর ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এবার যে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে পারে, তা কয়েক মাস ধরেই আলোচনায় আসছিল। বিশেষজ্ঞরা বারবার কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করেছে তা কতটা পর্যাপ্ত ছিল, এ প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্তৃপক্ষ অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি বলেই ডেঙ্গি এবার এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর পরই কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। এভাবে সাময়িক পদক্ষেপে যে সুফল মিলবে না, এ কথা বিশেষজ্ঞরা অতীতেও বারবার বলেছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, ঢাকার মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে পরিচালিত হচ্ছে না। তাই কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না। বছরব্যাপী পরিকল্পনা অনুযায়ী যে ধরনের কাজ করা দরকার, তা হচ্ছে না। মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের জনবল স্বল্পতার বিষয়টি আলোচিত। অপর্যাপ্ত সক্ষমতায় কর্তৃপক্ষ মশক নিধনে যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তাতে মানুষ কতটা সুুফল পাবে সেটাই প্রশ্ন।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের দুই কর্মকর্তার দাবি, এডিস মশার বেশিরভাগ উৎস মানুষের বাসার ভেতর ও আঙিনা। কাজেই মানুষকে নিজ নিজ বাসা ও এলাকা মশকমুক্ত রাখতে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, মশক নিধন কর্মকাণ্ড অভিজাত এলাকায় যেভাবে পরিচালিত হয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সর্বত্র সেভাবে পরিচালিত হয় না। কাজেই নগরীর সর্বত্র মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। সাধারণত এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব ঘটে। এ বছর নভেম্বরেও ডেঙ্গির সংক্রমণ কমেনি। বলা হতো, এডিস মশা সকালে ও সন্ধ্যায় কামড়ে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এডিস মশা রাতেও কামড়ায়। মশার আচরণে পরিবর্তনের বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে।

অনেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ার পরও অর্থের অভাবে সময়মতো হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছে যেতে পারে না। এভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেক রোগী মশারি ব্যবহার করে না। এ কারণেও ডেঙ্গি ছড়াচ্ছে। রোগটি দেশের অনেক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো বিক্ষিপ্তভাবে পদক্ষেপ নিলে সুফল মিলবে না। এডিস, কিউলেক্সসহ সব ধরনের মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে মশা এবং মশাজাতীয় কীটপতঙ্গের উপদ্রব বেড়েছে। কাজেই মশক নিধন যেন ‘মৌসুমি টেনশন’ হিসাবে সীমাবদ্ধ না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। মশক নিধন কর্মসূচি বছরজুড়ে চলমান রাখতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারণে রাজধানীর মশক নিধন কার্যক্রমে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। মশক নিধন কর্মকাণ্ডের সার্বিক ব্যবস্থাপনা দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।

মোঃ জাকির হোসেন, সম্পাদক, সিটিনিউজ সেভেন ডটকম

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *