রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ আজ। দুপুর ২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। রাজশাহীর গণসমাবেশের মধ্য দিয়ে ঢাকার বাইরে বিএনপির কর্মসূচি শেষ হচ্ছে।
ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ের শেষ কর্মসূচি ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা বেশ উজ্জীবিত। পদে পদে বাধা, পুলিশি তল্লাশি উপেক্ষা করে দুই থেকে চার দিন আগে থেকে রাজশাহীতে প্রবেশ করে বিএনপি নেতা কর্মীরা। তবে বিএনপির অন্য বিভাগের সমাবেশের মত রাজশাহীর সমাবেশের আগে থেকেই মাঠে প্রবেশ করতে পারছেন না নেতাকর্মীরা। পাশেই ঈদগাঁ মাঠে সামিয়ানা টানিয়ে অবস্থান নেন বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা। ফলে মাঠের অদূরেই যেন পরিণত হয় আরেক সমাবেশে।
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশস্থল আজ শনিবার সকাল থেকে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে বলে জানান বিএনপি নেতারা। তবে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয় গতকাল বিকেলে।
বিএনপি নেতারা বলেন, সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য যতটুকুন প্রক্রিয়া রয়েছে সমস্ত কিছু করা হয়েছে। রাজশাহী থেকে পুরো বিভাগকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এত বাধা সত্বেও নেতা কর্মীরা বিভিন্নভাবে নগরীতে প্রবেশ করেছে। এই সমাবেশ সকল রেকর্ড ভেঙে আশা করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় জমায়েত হবে।
জানা গেছে, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের পুঠিয়া, বেলপুকুর, কাটাখালি ও তালাইমারি, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের মোহনপুর, নওহাটা ও নওদাপাড়া এবং রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের গোদাগাড়ী ও কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে পুলিশের বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, পুলিশি বাধা এবং হয়রানি উপেক্ষা করে এরই মধ্যে লাখো নেতাকর্মী রাজশাহী শহরে প্রবেশ করেছে। এরই মধ্যে অনেকেই রাজশাহী ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠের পাশে ঈদগাহ মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাধা দিয়ে হয়রানি করে বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাগম ঠেকানো যাবে না।
তিনি বলেন, ঈদগাহ মাঠে নেতাকর্মীদের থাকার জন্য তাবু টানানোর ব্যবস্থা করা হলেও পুলিশ প্রথম দিকে তাতেও বাধা দেয়। ফলে অনেক নেতাকর্মীকে রাতে খোলা আকাশের নিচে কাটাতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈসা বলেন, বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীদের পুলিশ মাঠে ঢুকতে দেয়নি। শুধু মঞ্চ তৈরির জন্য কিছু লোককে প্রবেশ করতে দিয়েছে। তাই বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা ঈদগা মাঠে অবস্থান নেয়।
মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, নগরীর প্রবেশদারগুলোতে নিয়মিত চেকপোস্ট। বিএনপির সমাবেশ ঘিরে যেকোন অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারী ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। তবে হয়রানি ও অনেককে ফিরিয়ে দেয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//