স্টাফ রিপোর্টার:
আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। বিএনপি অধ্যুষিত এলাকাতে রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। এ ছাড়া সাদা পোশাকে নিয়োজিত আছেন আরো কয়েক শ গোয়েন্দা সদস্য। সম্মেলনের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
এছাড়া সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দেখে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সম্মেলনে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি, বিভিন্ন সড়কের সিসিটিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও মনিটরিং হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা নির্ধারণ করে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
এবার সারা দেশ থেকে দলটির সাংগঠনিক জেলা-মহানগর শাখার সাড়ে ৮ হাজার কাউন্সিলর এবং ২৫ হাজার ডেলিগেট অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টায় শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরাসহ বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগের নেতা ঢাকায় এসেছেন। বিভিন্ন নেতার বাসা, আবাসিক হোটেল এবং আত্মীয় ও পরিচিত জনের বাসায় ওঠা এসব নেতাকর্মী সকাল থেকে সম্মেলনে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে উপস্থিতির সংখ্যাও।
কুমিল্লা জেলা থেকে আসা কাউন্সিলর আব্দুসসাত্তার বলেন, সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় এসেছি। শনিবার সকাল ৭টায় টিএসসির দিকের গেট দিয়ে সম্মেলনস্থলে প্রবেশের জন্য এসেছি। আমার মতো বিভিন্ন জেলার কাউন্সিলররাও আসছেন।
এর আগে শুক্রবার সম্মেলন উপলক্ষ্যে র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা বিফ্রিং করা হয়। এ সময় ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের লক্ষাধিক নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যোগদান করবেন। আপনারা জানেন, অনেকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবননাশের চেষ্টা করা হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। এজন্য আমরা তার নিরাপত্তাকে সব সময় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছি।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে র্যাব। বিভিন্ন পয়েন্টে স্টাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি পেট্রোল টিম ও ডগ স্কোয়াড রাখা হয়েছে। এছাড়া বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এবং সাদা পোশাকে র্যাব সদস্যরা মাঠে কাজ করছে। বিশেষ প্রয়োজনে কমান্ডো টিম প্রস্তুত রয়েছে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//