ইমরান খান গ্রেপ্তার
আগস্ট ৫, ২০২৩
শেখ কামাল ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
আগস্ট ৫, ২০২৩

দেশে খেলাধুলার ভিত তৈরি করেছেন শেখ কামাল : প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
খেলাধুলায় বাংলাদেশ যে এগোচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল তার ভিত তৈরি করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা এদেশে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। সে সংগ্রামের পথ দিয়েই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা এদেশের খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আমাদের পরিবার সব সময় ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ছিল।
খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় শেখ কামালের অবদানের কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, খেলাধুলায় বাংলাদেশ যে এগিয়ে তার ভিত তৈরি করে দেয় শেখ কামাল। শেখ কামাল বেঁচে থাকলে আমাকে এত বড় দায়িত্ব নিতে হতো না। শেখ কামাল বেঁচে থাকলে খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারত।
ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সব দিকেই বাংলাদেশ অগ্রগামী এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে থাকা মেধাবীদের খুঁজে বের করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্ব দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
জাতির সার্বিক উন্নয়নে ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নতিও জরুরি এমন মন্তব্য করে সরকারপ্রধান খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মাসটা আমাদের শোকের মাস। এ মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথী, আন্দোলন সংগ্রামও একসঙ্গে ছিলাম। বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে তার যে অবদান রয়েছে সেটা চিরদিন মানুষ স্মরণ করবে।
বিত্তশালীদের উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াসেবীদের কল্যাণে জন্য আপনারা এই ফাউন্ডেশনে (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) অনুদান দেবেন। কারণ, অনেক খেলোয়াড় অসুস্থ হয়ে পড়ে, তাদের চিকিৎসার সুযোগ থাকে না, অনেকে আর্থিকভাবে সংকটে পড়ে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না তখনও চেষ্টা করছি এবং এখন চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের অনেক গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েরা স্বর্ণ জয় করে নিয়ে আসে। অনেক প্রতিবন্ধী বেশি সাফল্য দেখায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা যে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আসে এটা কম কথা না। সে ক্ষেত্রে আমরা তাদের সহযোগিতা করি। যাতে তারা যেতে পারে, খেলাধুলা অংশগ্রহণ করতে পারে। খেলাধুলা একটা অনেক বয়স পর্যন্ত খেলতে পারে না। তাদের পরবর্তী জীবনটা কেমন হবে? সেজন্য আমি বলব, আমাদের যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বিমা, অনেক কিছু করে দিয়েছি, প্রাইভেট সেক্টর অনেক শক্তিশালী হয়েছে, সেখানে যদি নিজস্ব ক্রীড়া সংগঠন বা যারা ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে সংযুক্ত তাদের যদি চাকরি ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, তারাও তো ওই প্রতিষ্ঠানেরই সুনাম বয়ে আনতে পারবে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের মেয়েরা যদি এভারেস্ট বিজয় করতে পারে, খেলাধুলা এত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রাখতে পারে, তাহলে এটা তো বাংলাদেশেরই সুনাম বাড়বে। আমাদের ছেলেমেয়ের সীমিত সুযোগের মধ্য দিয়েও যথেষ্ট সুনাম বয়ে আনছে। সুনাম বৃদ্ধির জন্যও আমাদের দরকার তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করা। সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে যেমন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা লাগে, তেমনি বেসরকারি খাতে যারা রয়েছেন তাদেরও পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এগুলো বিকশিত করতে পারে না। সারাদেশে অনেক মেধা লুকিয়ে আছে। তাদের খুঁজে বের করুন। তারা বিশ্ব দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আটটি বিভাগে ১০ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২৩ বিতরণ করেন।

//এস//

 

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *