দেশের ভাবমূর্তি আরো জোরদার করতে কাজ করুন : প্রধানমন্ত্রী
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
খালেদা জিয়া ফের সিসিইউতে
সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও বিএনপির মনের ইচ্ছা পূরণ হতে দেবে না। তারা আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না এলেও যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এবং ভূমিধস বিজয়ের মধ্যদিয়ে আবারও দেশ পরিচালনা করবেন প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বিশ্ব নেতারা বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে আর দেশকে পিছিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি। যারা বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্র ধবংস করে সেই বিশ্ব বেনিয়াদের হাতেই দেশকে তুলে দিয়ে
ভূ-রাজনীতির খেলার পুতুল বানাতে চায় দলটি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী দেশকে খেলার পুতুল বানাতে দেবেন না।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ভন্ডুল করার অপচেষ্টায় জলঘোলা করে পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত বিএনপি- জামায়াত। এতে ছাগলের ৩ নম্বর বাচ্চার পরিচয় দিচ্ছে তারা। বিদেশি প্রভুদের বাতাসে তারা লাফালাফি করছে। এই লাফালাফিতে কোনো কাজ হবে না। কেউ তাদের দোলনায় ফিডার খাইয়ে ক্ষমতা তুলে দেবে না ।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে বিএনপি ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেও তা পার হয়ে গেছে, অর্থাৎ সেমিফাইনালে হেরে গেছে দলটি। তাই ক্ষমতায় যাওয়ার ফাইনালের স্বপ্ন দেখে বিএনপির লাভ নাই।
আগামী নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ভেবেছেন ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জন করেছেন, আওয়ামী লীগ টিকতে পারবেনা। কিন্ত আমরা ৫ বছর থেকেছি। ২০১৮ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। আগামী নির্বাচনেও তাই হবে।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার কখনো ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করেনি, তাহলে তিনি ১৯৮২ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। শেখ হাসিনা ক্ষমতালোভী নয়, বঙ্গবন্ধুরও কখনো ক্ষমতার লোভ ছিল না। তিনি চাইলে গণঅভ্যুত্থানের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পদিক বলেন,
দেশ এখন স্বল্পোন্নত হয়েছে, দারিদ্র্য কমেছে, ২০০৯ সালে বিশ্বে ৬০ তম অর্থনীতির দেশ ছিল। আজ ৩১ তম দেশ। বাংলাদেশ ২৫টি দেশ পেছনে ফেলে এসেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে ভারত সরকার, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রশংসা করেছে।
//এস//
