নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সহায়তার আড়ালে স্বর্ণ চোরাচালানের সময় মিট অ্যান্ড গ্রিট সেবা প্রদানকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শুভেচ্ছার কর্মীকে আটক করেছে বিমানবন্দর ১৩ আর্মড পুলিশ ব্যাটালয়ন এপিবিএন।
পাওয়ার ব্যাংকে লুকিয়ে সোনার বার পাচারের চেষ্টা করছিলেন শুভেচ্ছার কর্মী মো. রাজু।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে তাকে ১১ পিস স্বর্ণের বারসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।
শুক্রবার ( ৬ অক্টোবর ) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
জব্দ করা ১১টি স্বর্ণের বারের মোট ওজন ১২৭৬ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ২২ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘শুভেচ্ছার সিনিয়র কাস্টমার রিপ্রেজেনটেটিভ মো. রাজুর অযাচিত আচরণে সন্দেহ হয় বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশের গোয়েন্দা দলের। রাজুকে ১ নম্বর লাগেজ বেল্টের কাছে টয়লেটে প্রবেশ করতে দেখা যায়। একই সঙ্গে সেখানে যাত্রীদের সঙ্গে কোনো কিছু বিনিময় করেছে বলেও সন্দেহ করা হয়। পরবর্তীতে অ্যারাইভাল কনকোর্স হলের প্রক্ষালন কক্ষের (টয়লেট) সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তাকে আর্মড পুলিশের অফিসে এনে জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশি করা হয়। তল্লাশি শেষে কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংকের ভেতর থেকে ১০টি ও রাজুর পকেট থেকে একটি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাজুর বয়ানে জানা গেছে, দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর কাছ থেকে এসব স্বর্ণের বার নিয়েছেন তিনি। এর বিনিময়ে তাকে ‘খুশি করে দেওয়া হবে’ বলে জানানো হয়। মোবাইলে স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের সদস্যরা প্রথমে রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করে, কাজ শেষে তাকে পাওনা বুঝিয়ে খুশি করে দেওয়া হবে বলে কথা দেয় তারা। শুভেচ্ছা কর্মী রাজু লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার মজিবুর রহমানের সন্তান। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
//এস//