নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আবদুল কাদের সৌরভ (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ওসি ও পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত ভুয়া পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তার আবদুল কাদের চাটখিল পৌরসভার ৫নম্বর ওয়ার্ডের লামচর গ্রামের সরদার বাড়ির মো. গোলাম মাওলার ছেলে।
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে। এর আগে, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে চাটখিল পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদ (৩৫) হাঙ্গেরী যাওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে একলাশপুর ইউনিয়নের গাবুয়া বাজারে যায়। সেখানে তার সহপাঠী ও বন্ধু মহরম আলীর সঙ্গে দেখা হয়। কথা-বার্তার একপর্যায়ে সে জানায় ৩ দিনের ভিতরে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সংগ্রহ করে দিতে পারবে।
পরবর্তীতে নূর মোহাম্মদ তার নিজের, তার ভাতিজা এবং এলাকার মসজিদের ইমাম আনোয়ার হোসেনের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবত ৬ হাজার ৮০০ টাকা প্রদান করেন। ২-৩ দিন পরে আসামি পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের কপি সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠায়। এতে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. মুজাহিদুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার রামকৃষ্ণ সরকারের নাম, সিল ও স্বাক্ষর সম্বলিত ছিল। নূর মোহাম্মদসহ তার ভাতিজা ও ইমাম ওই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য ট্রাভেল এজেন্সিতে জমা দেয়। গত ৩ অক্টোবর ট্রাভেল এজেন্সি থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সগুলো নকল বলে জানায়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও পলাতক আসামি মহররম আলী দীর্ঘদিন থেকে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনের সহায়তায় ঢাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বিভিন্ন থানা ও জেলার অফিসার ইনচার্জ, পুলিশ সুপার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তিত নাম ও সিল তৈরি করে জাল স্বাক্ষর এর মাধ্যমে নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরি করে আসছে। প্রতারক চক্র নকল পুলিশ ক্লিয়ারেন্স তৈরির কাজটি এতটাই নিখুঁতভাবে করে যে, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সগুলো অনলাইনে থাকে, যার কারণে সহজে যে কেউ পুলিশ ক্লিয়ারেন্সগুলো নকল হিসেবে ধরতে পারে না।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সাতজনকে আসামি করে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
//এস//
।