নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর সবুজবাগ এলাকার একটি বাসা থেকে ফাতেমা কানিজ (৪০) নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ফাতেমার স্বামী আলামিনকে আটক করেছে পুলিশ।
ডিএমপির সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবিনা আউয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ শুনে আজ বেলা ১১টার দিকে সবুজবাগ তাদের বাসা থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের ৪টি আঘাত আছে। এই আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তার স্বামী আলামিনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা বিস্তারিত জানার জন্য পুলিশ কাজ করছে।
ফাতেমার বাড়ি কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার রাজাচাপিতলা গ্রামে। তার বাবার নাম মোসলেম উদ্দিন আহমেদ। বর্তমানে সবুজবাগ থানার পূর্ব রাজাবাজার স্বামীর বাসায় থাকতেন। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহতের ছোট ভাই মনিরুজ্জামান বলেন, আমার ভাগ্নে ফোন করে সংবাদ পাঠায়, তাদের রুম বাইরে থেকে লক করা। সেই সংবাদ পেয়ে ভগ্নিপতির বাসায় যাই। বাসায় গিয়ে প্রথমে ফাতেমার ছেলেদের যে রুম আটকে রাখা হয় সে রুমের দরজা ভেঙে তাদের বের করা হয়। আর আমার বোন ও ভগ্নিপতির রুমের দরজা ভেতর থেকে লক করা ছিল। অনেক ডাকাডাকি করে কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ফেলি। ভেতরে দেখতে পাই, বোন কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে ভগ্নিপতি আলামিন শুয়ে আছেন।
মনিরুজ্জামানের বরাত দিয়ে এসআই রুবিনা বলেন, চলতি মাসের ২ তারিখে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই ওমরা করে দেশে ফেরেন। সেই থেকে ফাতেমা বাসাবো কদমতলায় তার বাবার বাড়িতে থাকছিলেন। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। আলামিন তার স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন। কয়েক দিন আগে স্বামীর বাসায় যান ফাতেমা। গত রাত থেকে আর রোববার সকাল ৯টার মধ্যে যে কোনও সময়ে তার স্বামী আলামিন তার স্ত্রী ফাতেমাকে গলায় আঘাত করে হত্যা করে কাঁথা দিয়ে পেচিয়ে রেখেছিল বলে আমরা ধারণা করছি।
//এস//