স্পোর্টস ডেস্ক
অবশেষে এলো সেই মহেন্দ্রক্ষণ। ঘরের মাঠে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধ সমতায় শেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড নেয় বাংলাদেশ। সেই লিড শেষ পর্যন্ত ধরে রেখে মালদ্বীপকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশ লড়বে অস্ট্রেলিয়া, ফিলিস্তিন ও লেবাননের বিপক্ষে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডার শাকিলের ভুলে ডি বক্সের ভেতর ফাকায় বল পেয়ে যায় মালদ্বীপ। তবে শেষ পর্যন্ত বিপদ ঘটেনি। ব্যাক টু ব্যাক কর্ণার পেলেও সুবিধা করতে পারেনি সফরকারীরা।
সপ্তম মিনিটে দুর্দান্ত এক সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশ। সোহেল রানার বাড়িয়ে দেওয়া বল জামাল ভূঁইয়া ডি বক্সের ভেতরে নিয়ে ঢুকলেও শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারননি টাইগার দলপতি। যার ফলে গোলবঞ্চিত থাকতে হয় স্বাগতিকদের।
ম্যাচের দশম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান সোহেল। ডি-বক্সের কাছাকাছি গিয়ে ক্রস করেন তিনি বামদিকে। সেখান থেকে বল বাগে নিয়ে আক্রমণে যান সাদ উদ্দিন। কিন্তু মালদ্বীপের ডিফেন্ডারদের সুবাদে সে যাত্রায়ও ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।
তবে পরের মিনিটে বাংলাদেশের আক্রমণভাগের গতির কাছে পরাস্থ হতে হয় মালদ্বীপের রক্ষণভাগকে। ফাহিমের পাস ধরে দুর্দান্ত এক গোলে দলকে লিড এনে দেন রাকিব হোসেন।
আর সেই সুবাদে প্লে অফের মিশনে একধাপ এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
লিড নিয়ে আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। কিন্তু জালের খোঁজ পাচ্ছিল না জামাল-রানারা।
৩৩তম মিনিটে ডানদিক থেকে ডি বক্সে দুর্দান্ত এক ক্রস করেন জামাল। কিন্তু ডি বক্সের ভেতর ফাকায় বল পেয়েও সেটি লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন রাকিব।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া মালদ্বীপ ঘুরে দাঁড়ায় দুই মিনিট বাদেই। আইসাম ইবরাহিমের গোলে সমতায় ফেরে সফরকারীরা।
এরপর বাকিটা সময় আর গোলের দেখা মেলেনি কোনো দলেরই। যে কারণে ১-১ গোলের সমতা নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয় দুই দলকে।
তবে বিরতি থেকে ফিরেই ফের লিড নেয় স্বাগতিকরা। রানার বাড়িয়ে দেওয়া প-আস ধরে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন ফাহিম আহমেদ।
ম্যাচের ৬০তম মিনিটে বোড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। মালদ্বীপের খেলোয়াড়কে ফাউল করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন সোহেল রানা। আর তাতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয়ে যায় স্বাগতিকরা।
৬৯ মিনিটের মাথায় ওয়ান টু ওয়ান টু খেলে ডি বক্সের ভেতর বল ঠেলে দেন জামাল। কিন্তু সেই পুরোনো রোগ ফিনিশিংয়ের অভাবে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। পরের মিনিটেই একইভাবে সুযোগ হাতছাড়া হয় স্বাগতিকদের।
নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে তৃতীয় গোলের দেখা মেলে বিশ্বনাথ ঘোষের সুবাদে। কিন্তু অফ সাইডের কারণে রেফারি বাতিল করেন সেই গোলটি।
যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে বাংলাদেশের রক্ষণাত্মক খেলার সুবাদে স্বাগতিকদের বক্সে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে মালদ্বীপ। কিন্তু ডিফেন্ডারদের সুবাদে জালের দেখা মিলছিল না সফরকারীদের।
শেষ পর্যন্ত আর গোল বের করে আনা সম্ভব হয়নি মালদ্বীপের পক্ষে। আর ২-১ গোলের স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
//এস//