নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অফিস।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর পর অন্ধ্রপ্রদেশের দক্ষিণে এবং তামিলনাড়ুর উত্তর ভাগে ৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) সকালে ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়তে পারে। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। ‘মিগজাউম’র প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সেটি কোথায় কখন আঘাত হানতে পারে সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য জানায়নি।
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১১ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি রোববার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
//এস//