লাশ শনাক্তে আনারকন্যাকে নেওয়া হচ্ছে কলকাতায়

কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের বিইউ-৫৬ এর যে ফ্ল্যাটে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যা করা হয়েছিল সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে মঙ্গলবার (২৮ মে) ৪ কেজি ‘টুকরো মাংস’ পাওয়া গেছে। এগুলো এমপি আনারের দেহাংশ কি না তা নিশ্চিত করতে তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে কলকাতায় নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান। এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে তার নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের একটি গোয়েন্দা দল এখন কলকাতায় অবস্থান করছে।

ডিবি হারুন অর রশীদ বলেন, এমপি আজিমের পরিবারের কাউকে কলকাতায় নিয়ে আসা ছাড়া দ্রুততম সময়ে লাশ শনাক্তকরণ সম্ভব নয়। তার মেয়ে ডরিনকে ইতোমধ্যেই বিষয়টি জানানো হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে ডরিন এবং এমপির ভাই কলকাতায় আসতে পারেন।

এই প্রসঙ্গে আনোয়ারুল আজীম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন মঙ্গলবার (২৮ মে) গণমাধ্যমকে বলেন, ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাংক থেকে বাবার মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু খণ্ডাংশ বাবার কি না তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ। এজন্য ডিএনএ টেস্টের স্যাম্পল দিতে কলকাতা পুলিশ ডাকলে সেখানে যাবো।

এর আগে এমপি আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মরদেহের খণ্ডিত অংশের খোঁজে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় চলছে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান।

এই হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর মঙ্গলবার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনের সেফটিক ট্যাংক থেকে মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এটি এমপি আনারের মৃতদেহের খণ্ডিত অংশ কিনা, তা ফরেনসিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে জানা যাবে বলে জানিয়েছে দুই দেশের গোয়েন্দারা।

গত ১৩ মে সঞ্জীভা গার্ডেনের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশি এমপি আনারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল সেই আবাসিক ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মাংসের টুকরো উদ্ধার করা হয়। সেপটিক ট্যাংকের তলায় মাংসের টুকরাগুলো জমা হয়েছিল।

সঞ্জীভা গার্ডেনের এক পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাংসগুলো ছোট ছোট করে টুকরা করা। তরল পয়ঃবর্জ্যের মধ্যে থেকে সেগুলো অনেকটা ফ্যাকাশে এবং নরম হয়ে গেছে।’

এদিকে, এমপি আনার হত্যায় জড়িতদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব, এমন দাবি করেছেন কলকাতায় অবস্থানরত ডিএমপির ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।