নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মধ্য বাড্ডার ডিআইটি রোডে বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শান্তা আক্তার (২৭) নামে এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। রোববার (২ জুন) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সোলাইমান (৩০) নামে এক হোটেল কর্মচারী ঘটনার দিনই মারা যান। গত বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ডিআইটি ৪ নম্বর রোড খোকন দারোগার তিনতলা বাড়ির নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থল থেকে সোলাইমানের মরদেহ উদ্ধার করে এবং দগ্ধ শান্তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।ঘটনার দিন ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সৈয়দ মনিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা৪৩ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাসাটির নিচতলায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। সে বাড়িটির সামনে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয় সোলাইমান নামে ওই যুবকের মরদেহ। গ্যাসের লাইনের পাইপ লিক হয়ে গ্যাস জমে ছিল অথবা বাসার সামনে সুয়ারেজ লাইন থেকে বিষাক্ত গ্যাস ওই বাসায় জমে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
দগ্ধ শান্তার স্বামী মো. নাসির হাওলাদার জানান, বাড়িটি নিচতলায় ভাড়া বাসায় থাকেন তারা স্বামী-স্ত্রী। শান্তা স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন আর নাসির মাছের আড়তে কাজ করেন। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোর পাঁচটার দিকে ঘুম থেকে উঠেই কাজে চলে যান নাসির। তখনও ঘুমিয়ে ছিলেন শান্তা।
এরপর কিছুক্ষণ পর তিনি খবর পান, তাদের বাসায় বিকট বিস্ফোরণ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি দৌড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন বাসার সামনে দগ্ধ অবস্থায় পড়ে আছেন শান্তা। তার সমস্ত শরীর পুড়ে গেছে। তাকে ভিড় করে লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে শান্তাকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, গত বুধবার রাতে তিনি যখন বাসায় যান এরপর বাসায় গ্যাসের গন্ধ পান। গন্ধটি তাদের বাসার রান্নাঘরের থেকেও বের হতে পারে অথবা বাসার সামনে রাস্তা খুঁড়ে যেই কাজ চলছিল সেখান থেকেও গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে।
বিস্ফোরণে শান্তার শরীরের ৩৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ওইদিনই তাকে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে রাখা হয়। তার বাড়ি নরসিংদীর বেলাবো উপজেলায়।