ভারী বৃষ্টিতে ধসে পড়ল দিল্লি বিমানবন্দরের ছাদ, আহত ৬
জুন ২৮, ২০২৪
হঠাৎ অসুস্থ ডেপুটি স্পিকার, হেলিকপ্টারে নেয়া হলো ঢাকায়
জুন ২৮, ২০২৪

বন্যার মধ্যেই সিলেটের জন্য আরেক দুঃসংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে প্রবাহিত হলেও সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডসহ জেলার এক হাজারেরও বেশি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। এরই মধ্যে সিলেট অঞ্চলে ভারী বর্ষণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ফলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত ভারী বর্ষণের সতর্কবাণীর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় ভারী (৪৪-৮৮ মিমি-২৪ ঘণ্টা) থেকে অতিভারী (৮৯ মিমি-২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণজনিত কারণে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার ও বান্দরবন জেলার পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, শুধু কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাছাড়া জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এর আগে সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৮৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোবারক হোসেন বলেন, ‌‘ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস পেয়ে সিলেটের প্রত্যেক উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে। এর আলোকে জেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে।’

অন্যদিকে সিলেটের যেসব এলাকায় বন্যার পানি নেমে গেছে সেসব এলাকায় স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় গত ৮ দিনে ডায়রিয়া, আরটিআই, চোখের প্রদাহ, চর্মরোগসহ অন্যান্য পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮২৬ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, বন্যা ও পরবর্তী সময়ের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিভাগজুড়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগের ৩৯৪টি মেডিকেল টিম।

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন জন্মজয় দত্ত বলেন, ‘বন্যা-পরবর্তী পানিবাহিত রোগ মোকাবিলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইউনিয়নভিত্তিক টিমও কাজ করছে।’

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *