যেভাবে খোঁজ মিললো নিখোঁজ কিশোরী সুবার
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫

সাফজয়ী নারী ফুটবলারকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার ও সিনিয়র নারী ফুটবলারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। নারী ফুটবলাররা এই কোচের অধীনে অনুশীলন করবেন না এবং ফেডারেশন বাটলারকে রাখলে ফুটবল ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

এর মাঝেই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন সাফজয়ী দলের অন্যতম খেলোয়াড় জাপানি বংশোদ্ভূত মাতসুশিমা সুমাইয়া। বেশ কিছু দিন ধরেই ধর্ষণ আর মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ কথা জানান সুমাইয়া।

দুটি ছবি দিয়ে এই ফুটবলার ইংরেজিতে লিখেছেন, আসসালামু আলাইকুম। আমি মাতসুশিমা সুমাইয়া, বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের একজন খেলোয়াড়। ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্রী হিসেবে ইন্টার স্কুলে খেলা থেকে শুরু করে মালদ্বীপে লিগ জয় এবং ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হয়ে নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের অভিজ্ঞতা আমার জন্য ছিল অম্ল-মধুর ছিল।

‘যখন এই পথ বেছে নিয়েছি, আমার স্বপ্ন ছিল তরুণ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা; যাদের বাবা-মা চান তারা শুধু পড়াশোনাতেই মনোযোগী থাকুক। আমি দেখাতে চেয়েছি আবেগ এবং সংকল্প যে কোনও প্রতিবন্ধকতা ভেঙে দিতে পারে। কিন্তু আজ আফসোস করে বলতে হচ্ছে- আমার শিক্ষা, পরিবার, ঈদ—সবকিছু এমন একটি দেশের জন্য উৎসর্গ করেছি, যারা আমাদের সংগ্রামগুলোর প্রশংসা করতে জানে না।’

কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে চিঠি আকারে সেটি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়ালকে দিয়েছেন নারী ফুটবলাররা। শোনা যাচ্ছে, চিঠিটি ইংরেজিতে লিখে দেওয়ার কাজটি করেছেন সুমাইয়া। তারপর থেকেই ধর্ষণ আর হত্যার হুমকি পাচ্ছেন তিনি।

চিঠির বিষয়টি উল্লেখ করে সুমাইয়া লিখেছেন, ফুটবল খেলার জন্য বাবা-মায়ের সঙ্গে লড়াই করেছি এই বিশ্বাসে যে, হয়তো একদিন দেশ আমার পাশে দাঁড়াবে। কিন্তু বাস্তবতা পুরোপুরি ভিন্ন। কেউ আসলে ক্রীড়াবিদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা করে না। যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, সে সম্পর্কে নিজের এবং সতীর্থদের নিয়ে ইংরেজিতে একটি চিঠি লেখার ন্যূনতম দক্ষতা আমার আছে।

‘গত কয়েকদিন ধরে আমি অগণিত মৃত্যু এবং ধর্ষণের হুমকি পেয়েছি- যেসব শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, সেটা আমাকে এমনভাবে ভেঙে দিয়েছে যা কল্পনাও করিনি। জানি না এই মানসিক আঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে কত দিন লাগবে। তবে এটা জানি, কেবল স্বপ্ন পূরণের জন্য কাউকে যেন এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে না হয়।’
মূলত, গত অক্টোবরে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট চলাকালে কিছু নারী ফুটবলার কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে, তিনি সিনিয়র খেলোয়াড়দের পছন্দ করেন না। সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফেরার পর এক সিনিয়র ফুটবলার প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, পিটার বাটলার কোচ থাকলে ক্যাম্পে উঠবেন তারপরও এই কোচের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছে বাফুফে। এখন দেখার বিষয়, বাফুফে ও নারী ফুটবলারদের মধ্যে চলমান এই সংকট কীভাবে সমাধান হয়।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *