ডেভিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে অপারেশন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
কোনো দলের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকতে চাই না : সিইসি
ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

৪ দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের শাহবাগে অবস্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক
উচ্চশিক্ষার সুযোগ, অনতিবিলম্বে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্য পদে নিয়োগ প্রদানসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিটেন্ট ট্রেইনিং স্কুল) শিক্ষার্থীরা। দাবি মানার ঘোষণা না পেলে শাহবাগ মোড় ছাড়বেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ মোড়ে সড়কে অবস্থান নেন তারা। এ সময় টিএসসি থেকে শাহবাগে আসার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে শিক্ষার্থীরা ফার্মগেট এলাকায় জড়ো হন। সেখান থেকে শাহবাগের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তারা।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের দাবি, বর্তমানে ডিপ্লোমা মেডিকেল কোর্স সম্পূর্ণ করে প্রায় ৫০ হাজার দক্ষ জনবল কর্মসংস্থানহীন বেকার হয়ে পড়েছেন। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে নিয়োগ বন্ধ রয়েছে, নিয়োগবিধি সংশোধনের নামে তালবাহানা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে শূন্য পদ রয়েছে ২৫০০টি। এতে করে একদিকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ম্যাটস থেকে পাশকৃত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- বৈষম্যমুক্ত বাংলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ১৯৭৩-১৯৭৮ মোতাবেক উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে, অনতিবিলম্বে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার শূন্য পদে নিয়োগ প্রধানসহ কমিউনিটি ক্লিনিক সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকে ম্যাটস সংস্কৃত ডিএমএফ ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নতুন পদ সৃজন করতে হবে, অনতিবিলম্বে চার বছরের অ্যাকাডেমিক কোর্স বহাল রেখে পূর্বের মতো এক বছরের ভাতাসহ ইন্টার্নশিপ চালু করে অসংগতিপূর্ণ কোর্স কারিকুলাম সংশোধন করতে হবে এবং প্রস্তাবিত অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল শিক্ষা বোর্ড বাতিল করে ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ নামে নতুন বোর্ড গঠন করতে হবে।

এ বিষয়ে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আহমাদুল্লাহ মানসুর গণমাধ্যমকে বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জুলাই বিপ্লব সংগঠিত হলেও ম্যাটস শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের বৈষম্যের অবসান হয়নি। সব বৈষম্য অবসানের লক্ষ্যে গত ২২ জানুয়ারি চার দফা দাবিতে আমরা ঢাকার শাহবাগে গণজমায়েত করলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ৭ কার্যদিবসের মধ্যে দাবি পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ৭ দিন পার হলেও তার দৃশ্যমান কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, যেহেতু মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো এ ব্যাপারে আন্তরিকতার সঙ্গে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি তাই আমরা এ কর্মসূচি নিয়েছি। আজকের এই মুভমেন্টের সব দায়ভার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদকে নিতে হবে।

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *