তিস্তার এক ফোঁটা পানি আনতে পারেনি আ.লীগ: ফখরুল
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
পরিবারসহ ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫

অভ্যুত্থানে নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’, আহতরা ‘জুলাইযোদ্ধা’, পাবেন সনদ-পরিচয়পত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের ‘জুলাই শহীদ’ এবং আহতদের ‘জুলাইযোদ্ধা’ নামে অভিহিত করা হবে। একইসঙ্গে এই খেতাবের পরিপ্রেক্ষিতে সনদ ও পরিচয়পত্রের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও দেবে সরকার।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তারা ‘জুলাই শহীদ’ নামে খ্যাত হবেন। এই নিরিখে সনদ পাবেন, পরিচয়পত্র পাবেন তাদের পরিবারগুলো। জুলাই অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন তারা ‘জুলাইযোদ্ধা’ নামে খ্যাত হবেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা পরিচয়পত্র পাবেন। অন্যান্য সরকারি সুবিধাও পাবেন সবাই।

এজন্য চলতি সপ্তাহেই জুলাই অধিদপ্তর গঠন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এ সপ্তাহেই আত্মপ্রকাশ করবে জুলাই অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে অধিদপ্তর করার নিরিখে একটি নীতিমালাও হয়েছে।

ফারুক-ই-আজম বলেন, যারা শহীদ হয়েছেন তারা সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকা পাবেন। চলতি অর্থবছরে তাদের ১০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে, আগামী অর্থবছরে তারা ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র পাবেন।’

আহতরা তিনটি ক্যাটাগরিতে সহায়তা পাবেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আহতরা আজীবন চিকিৎসা সুবিধা পাবেন এবং তারা ভাতাও পাবেন। যারা গুরুতর আহত তারা এককালীন পাঁচ লাখ টাকা পাবেন এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা পাবেন। একটি অঙ্গহানি হয়েছে এমন আহত যারা আছেন তারা প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা ভাতা পাবেন এবং তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন। সামান্য আহত ছিলেন চিকিৎসা নিয়েছেন ভালো হয়ে গেছেন, তারা চাকরিসহ পুনর্বাসন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পাবেন। তারা কোনো ভাতা পাবেন না।

তিনি বলেন, আহতরা বিভিন্ন মাত্রায় প্রশিক্ষণ পাবেন। সরকারি, আধা-সরকারি ও অন্যান্য চাকরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের কর্মসংস্থান করা হবে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পাবেন তারা।

রাজনৈতিক সরকার যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে জুলাই অধিদপ্তরের অস্তিত্ব নাও থাকতে পারে। এমন আশঙ্কা করেন কি না প্রশ্নে ফারুক-ই-আজম বলেন, আমরা তো সরকারিভাবে এ জুলাই অধিদপ্তর করেছি। পরে রাজনৈতিক সরকার যারাই নির্বাচিত হয়ে আসবেন, তারা তো জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা নিয়েই আসবেন। আমরা মনে করি, তারাও এটিকে রক্ষা করবেন।

এ ছাড়া, আহত-নিহতের তালিকা নিয়ে মাঠ পর্যায়ে যে বিশৃঙ্খলা রয়েছে, সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ তাদের তালিকা আমরা পেয়েছি ১৬ জানুয়ারি রাত ৭টায়। আমরা রাত ৩টায় গেজেট প্রকাশ করে দিয়েছি। তালিকাটাও তৈরি হচ্ছে খুব দ্রুত। মেডিকেল সেল থেকেই এটা করা হচ্ছে। সেটা যখন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে আসবে, আমরা তাৎক্ষণিক তা গেজেটে প্রকাশ করে দেব। সুতরাং এখানে কারো ঢোকা কিংবা এটা থেকে কারো বের হওয়ার কোনো উপায় থাকবে না।

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *