স্পোর্টস ডেস্ক
ক্রিকেটের দুনিয়ায় অধিনায়কের গুরুত্বটাই আলাদা। খেলার মাঠে ক্রিকেটে একজন অধিনায়কের উপস্থিতিই অনেকটা সময় বদলে দেয় ম্যাচের পরিস্থিতি। অধিনায়কের এক মুহুর্তের সিদ্ধান্ত ক্রিকেট মাঠে রাখতে পারে বড় প্রভাব। সেই সঙ্গে অধিনায়কের পারফরম্যান্সকেও দলের সাফল্যের ভিত্তি বলাও অমূলক না। যুগে যুগে ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করেছেন এমনই সব অসাধারণ নেতা।
রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহ কিংবা হ্যান্সি ক্রনিয়ের মতো তারকাদের অনেকেই ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজেদের ছাপ রেখে গিয়েছেন তাদের দুর্দান্ত অধিনায়কত্বের কল্যাণে। পারফর্মারের চেয়ে ওয়াহ-ক্রনিয়েকে অধিনায়ক হিসেবেই মনে রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন অনেক ক্রিকেট ভক্ত। তবে ক্রিকেটের এসব রথী-মহারথী অধিনায়কদের সম্প্রতি পেছনে ফেলেছেন ভারতের রোহিত শর্মা।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর পরিসংখ্যান অন্তত রোহিতকে সর্বকালের সেরা অধিনায়কের আসরে বসাচ্ছে। ১৪২ ম্যাচে অধিনায়কত্ব শেষে এই মুহূর্তে রোহিত শর্মা জয় পেয়েছেন ৭৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ ম্যাচে। ক্রিকেটে কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ জিতেছেন এমন অধিনায়কের তালিকায় এটাই সর্বোচ্চ।
রোহিত ১৪২ ম্যাচের মাঝে জয় পেয়েছেন ১০৫ ম্যাচে। হেরেছেন ৩৩ ম্যাচ। রিকি পন্টিং ৩২৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় পেয়েছেন ২২০ ম্যাচে। তার জয়ের শতাংশ ৬৭ দশমিক ৯০। স্টিভ ওয়াহ ১৬৩ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জিতেছেন ১০৮ ম্যাচ। জয়ের শতাংশ ৬৬ দশমিক ২৫। দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি হ্যান্সি ক্রনিয়ে ৬৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ম্যাচে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
কমপক্ষে ১০০ জয় আছে এমন অধিনায়কের তালিকায় এরপরেই আছেন ভারতের বিরাট কোহলি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্লাইভ লয়েড। কোহলি জিতেছেন ৬৪ শতাংশ ম্যাচ। আর লয়েড জিতেছেন ৬৩ শতাংশ ম্যাচ।
রোহিত শর্মা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মাধ্যমে আরও এক দিক থেকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন রিকি পন্টিংকে। শতাংশ হিসেবে সাদা বলের আইসিসি ইভেন্টে সবচেয়ে বেশি জয় এখন ভারতীয় অধিনায়কের। ৩০ ম্যাচ শেষে ৯০ শতাংশ জয় পেয়েছেন রোহিত শর্মা। ৫১ ম্যাচ শেষে ৮৮ শতাংশ জয় ছিল রিকি পন্টিংয়ের। ২২ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা সৌরভ গাঙ্গুলির জয় ছিল ৮০ শতাংশ ম্যাচে।