স্পোর্টস ডেস্ক:
টানা তিন জয়ে বিপিএলে রীতিমতো উড়ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অবশেষে তাদের হারের স্বাদ দিল মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লাকে ৫০ রানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর ঢাকা।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকা তোলে ৬ উইকেটে ১৮১ রান। জবাবে ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানে গুটিয়ে যায় কুমিল্লার ইনিংস। বিপিএলে চতুর্থ ম্যাচে এসে হারের তিক্ত স্বাদ পেল ইমরুল কায়েসরা। হারলেও চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে কুমিল্লা। অন্যদিকে ছয় ম্যাচে তৃতীয় জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।
বড় টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। রুবেলের বলে ইমরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কোনো রান না করা ওপেনার লিটন দাস। এই চাপ সামলাতে পারেনি দলটি। দলীয় ১২ রানে বিদায় নেন আগের ম্যাচে দারুণ খেলা দক্ষিন আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিস। ৭ বলে ৮ রান করে তিনি হন রান আউট। এমন অবস্থায় দলের হাল ধরেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। এই সাবলিল ব্যাটিংয়ে এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৮২ রান পর্যন্ত। ওভার ১০।
এগারতম ওভারে এই জুটি ভাঙেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল। বোল্ড করেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে। ২৩ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ২৮ রান করে ফেরেন ইমরুল। একই ওভারে রাসেল ফেরান ক্রিজে থিতু হওয়া মাহমুদুল হাসান জয়কেও। সেও রাসেলের বোল্ড। ৩০ বলে আট চারে ৪৬ রানে ফেরেন জয়।
ব্যাট হাতে আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ক্যামেরন ডেলপোর্ট এদিন ব্যর্থ। দলীয় ৮৭ রানে তিনি হন রান আউট। ৭ বলে ৩ রান তার। ৮৭ রানে ৫ উইকেট হারানো কুমিল্লাকে আর পথ দেখাতে পারেনি কেউ। ১৫ বল হাতে রেখে দলটি অল আউট হয় ১৩১ রানে। শেষের দিকে ১১ বলে ১৭ রান করেন আফগান ক্রিকেটার করিম জান্নাত। ১০ বলে দুই চারে ১২ রান করেন আরিফুল। গোল্ডেন ডাক মানের নাহিদুল। ৭ বলে এক ছক্কায় ১০ রানে অপরাজিত থাকেন তানভির ইসলাম।
বল হাতে ঢাকার হয়ে ১৭ রানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল। এছাড়া এবাদত হোসেন ও কায়েস আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট। রুবেল হোসেন পান এক উইকেটের দেখা। ৭০ রানের দারুণ অপরাজিত ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় ঢাকা। মোস্তাফিজের বলে এলবি হয়ে ফেরেন ঢাকার ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ (৫ বলে ৬ রান)।
ইমরান উজ্জামানের সাথে তামিমের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ঢাকাকে নিয়ে যায় ৫৫ রান অবধি। করিম জান্নাতের বলে এলবি হয়ে ফেরেন ইমরান উজ্জামান। ১৪ বলে দুই চারে ১৫ রান করেন ইমরান। এই জুটিতে আসে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৪৮ রান।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সাথে চলতে থাকে তামিমের পথচলা। দলীয় ৮৫ রানে ফেরেন তামিম ফিফটি থেকে চার ধাপ দূরে থাকতে। তানভিরের বলে করিমের হাতে ক্যাচ দেন এই ড্যাশিং ওপেনার। তার আগে করে যান ৩৫ বলে ৪৬ রানের ইনিংস। তামিমের ইনিংসটি সাজানো দুটি চার ও তিন ছক্কায়।
এরপর যা করেছেন বলতে গেলে মাহমুদউল্লাহই। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৭০ রানের দারুণ চকচকে ইনিংস খেলে। চারটি ছক্কার পাশাপাশি তিনি হাঁকান তিনটি চার। ৩ বলে ২ রানে অপর অপরাজিত ব্যাটার মাশরাফি। এছাড়া শুভাগত ৯, আন্দ্রে রাসেল ১১, নাঈম ১০ রান করেন।
কুমিল্লার হয়ে তানভির দুটি, মোস্তাফিজুর, শহিদুল ও করিম নেন একটি করে উইকেট।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//