স্টাফ রিপোর্টার:
আজ সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার সন্ধ্যায় এ নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছে।
২০১৭ সালের১৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিশন দায়িত্ব নেয়। এ কমিশনের চার নির্বাচন কমিশনার হলেন মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন। গত পাঁচ বছরে ইসি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ প্রায় পাঁচ হাজার নির্বাচন আয়োজন করেছে।
রবিবার নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নুরুল হুদা নিজেকে সফল দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি মনে করি সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করে দিয়েছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি।
পাঁচ বছরের সফলতা তুলে ধরতে আজ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এদিন নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্যোগে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ইসি সচিবালয় ত্যাগ করবেন তারা।
পাঁচ বছরের ব্যর্থতা-সফলতা নিয়ে কে এম নূরুল হুদা বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি পরিপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য। কারও কথায় নয়, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করেন একজন। বাকি ছয়জনের সবাই তো বলেন নির্বাচন ভালো হয়নি। সুতরাং, সমালোচনা হবে-এটা স্বাভাবিক। এ দেশের কালচার (সংস্কৃতি) অনুযায়ী এটাই স্বাভাবিক ঘটনা।
এই কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৭ সালের মার্চে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন করে প্রশংসিত হয়েছিল হুদা কমিশন। এরপর ডিসেম্বরে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনও ভালো হয়েছিল। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনও ছিল সুষ্ঠু ও বিতর্কমুক্ত। এর বাইরে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও চলমান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ইসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//