আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন দূতাবাস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দূতাবাসের কার্যক্রম আপাতত লিভ শহর থেকে পরিচালিত হবে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বাড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেন বলেন, আমি একটি কারণে এই ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছি-আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আমরা জোরালোভাবে ইউক্রেনে থাকা মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, রাশিয়া যদি ভালো বিশ্বাস নিয়ে যোগাযোগ করতে চায়, তাহলে কূটনীতির পথ খোলা থাকবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূতাবাসে আমাদের কর্মীদের ফেরত নেওয়ার জন্য উন্মুখ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে কিয়েভের দূতাবাস থেকে সমস্ত জরুরি নয় এমন কর্মচারীদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শনিবার সকালে টুইটার পোস্টে মার্কিন দূতাবাস জানায়, ইউক্রেন সীমান্তে অব্যাহত রাশিয়ান সামরিক শক্তি বৃদ্ধি বড় ধরনের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই প্রায় এক লাখ সেনাসদস্য মোতায়েন করে রেখেছে প্রতিবেশী দেশ রাশিয়া। এর মধ্যে ট্যাংক ও কামানসহ যুদ্ধবিমানের বহরও ইউক্রেন সীমান্তে পাঠিয়েছে দেশটি। শুধু তাই নয় ইউক্রেনকে তিন দিক থেকে ঘিরে রেখেছে রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে রুশ সেনারা দেশটিতে আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। যদিও ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে বরাবরই দাবি করে আসছে মস্কো।
সূত্র: সিবিএস নিউজ/
সিটিনিউজ সেভেন//আর//