মোঃ জাকির হোসেন
একুশের বইমেলা পাঠক, লেখক ও প্রকাশকের মিলনমেলা। করোনার কারণে ছন্দপতন হলেও এ মেলার আবেদন একটুও কমেনি।করোনার কারণে দুই সপ্তাহ দেরিতে মঙ্গলবার শুরু হয়েছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসাবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এ মেলার উদ্বোধন করেন। গত বছর অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বিক্রি কম হলেও প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছিল উল্লেখ করার মতো। করোনা পরিস্থিতিতে মুদ্রিত নতুন বই পাঠে বিশেষ নিয়ম মানতে হয়। এসব নিয়ম শিশু ও বয়স্কদের নতুন বই পাঠের আনন্দ লাভের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এ অবস্থায় তারা যাতে বিকল্প উপায়ে বই পাঠের আনন্দে যুক্ত হতে পারে, সেজন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা দরকার। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনাও অব্যাহত রাখা দরকার।
মানসম্মত বই মানুষকে উচ্চ নৈতিকতা ও উন্নত মূল্যবোধের চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে। মানুষ যদি উচ্চ নৈতিকতা ও উন্নত মূল্যবোধের চর্চা না করে, তাহলে দেশের চলমান উন্নয়ন অর্থবহ হবে না, যা বলাই বাহুল্য। অমর একুশে গ্রন্থমেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার বই প্রকাশিত হচ্ছে। বইমেলার সার্বিক কর্মকাণ্ড যাতে সফলভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। অতীতে লক্ষ করা গেছে, কর্তৃপক্ষের অসতর্কতার কারণে বইমেলায় এসে শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা। বইমেলাকে কেন্দ্র করে দেশে মননশীলতার চর্চায় যে নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে, তা যাতে আরও বেগবান হয়, সেদিকেও কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে।
মোঃ জাকির হোসেন, সম্পাদক, সিটিনিউজ সেভেন ডটকম
সিটিনিউজ সেভেন//আর//