ধর্ম ডেস্ক:
সুরা কাফিরুন পবিত্র কোরানের ১০৯ তম সুরা। এই সুরার আয়াত সংখ্যা ছয়, রুকু সংখ্যা এক এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এক সাহাবি আরজ করলেন, আমাকে ঘুমের আগে পড়ার জন্য কোনো দোয়া বলে দিন। তখন তিনি ‘সুরা কাফিরুন’পড়তে আদেশ দেন।
হজরত ফারওয়াহ ইবনু নাওফাল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বাবার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নাওফালকে বললেন- তুমি ‘কুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন’ সুরাটি পড়ে ঘুমাবে। কারণ এ সুরাটি হচ্ছে শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা।’ (আবু দাউদ, (তাবারানি))
সুরা কাফিরুন
আরবি: قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
বাংলা উচ্চারণ: কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
আরবি: لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
বাংলা উচ্চারণ: লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
আরবি: وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
বাংলা উচ্চারণ: ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
আরবি: وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
বাংলা উচ্চারণ: ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম,
আরবি: وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
বাংলা উচ্চারণ: ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
আরবি: لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
বাংলা উচ্চারণ: লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।
অর্থ: বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
এছাড়াও নবিজী ( সা.) বেশিভাগ সময় কাবা শরিফ তাওয়াফের পর দুই রাকাত নামাজ, মাগরিব ও ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজে সুরা কাফিরুন ও সুরা ইখলাস পড়তেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা তার সকল নবী রাসূল এবং আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.)-এর মাধ্যমে একত্ববাদের বাণী প্রচার করিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামীন আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই; সেই তাওহীদের বাণী আমাদের অন্তরে লালন করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের পবিত্র কোরআন ও হাদিস বুঝে আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।
সিটিনিউজ সেভেন//আর//