আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণার পর ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রুশ সেনারা। দিনভর তিন দিক থেকে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে তারা। এতে ইউক্রেনের ১৩৭ সেনা এবং রাশিয়ারি ১২ সেনা নিহত হয়।
যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনও তুমুল লড়াই হয়েছে। ইউক্রেনের হোস্টোমেল বিমানঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নেয় রুশ বাহিনী। যুক্তরাজ্যের দাবি, চলমান এই যুদ্ধে রাশিয়ার ৪৫০ সেনা নিহত হয়েছে। যদিও ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এ পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
দিকে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজেশন (ন্যাটো) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। খোদ ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, বিশ্ব নেতারা আশার কথা শুনালেও এখন কেউ পাশে নেই। তবে জোটের নেতা জেনস স্টলটেনবার্গ বলছেন, ইউক্রেনে সরাসরি সেনা না পাঠালেও রাশিয়া হামলা শুরুর পরই ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপে শক্তি বাড়ানো শুরু করেছে।আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ন্যাটোর রেসপন্স ফোর্সকে সক্রিয় করা হয়েছে। তবে সক্রিয় করার অর্থ এই নয় যে যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটো সেনাদের ইউক্রেনে মোতায়েন করা হবে। ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য নয়। আর জোটের সদস্যরা কোনও দেশকে রক্ষায় ন্যাটো সেনা মোতায়েন করে না। প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ন্যাটোর সুপ্রিম কমান্ডার ওল্টার এক বিবৃতিতে রেসপন্স ফোর্সকে সক্রিয় করাকে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন। এই বাহিনীকে এখনও কোথাও মোতায়েন করা হয়নি। তাদের মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সূত্র : সিএনএন
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//