স্টাফ রিপোর্টার:
জ্বালানি তেল ও ভোজ্য তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাজারে চালের দাম। এক সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।
পাইকারি বাজারে নাজিরশাইল গত সপ্তাহে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা থাকলেও আজকে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট ৬৪ টাকা, যা ছিল ৬২ টাকা। আটাশ চাল ৪৮ টাকা, গত সপ্তাহে যার দাম ছিল ৪৪ টাকা। পাইকারি বাজার থেকে ৫০০ গজ দূরের খুচরো বাজারে এসব চাল বিক্রি হয় ৪ থেকে ৮ টাকা বেশি কেজিতে।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।
পাইকারি চাল ব্যবসায়ী নিয়ামুল ট্রেডার্সের মালিক লিয়াকত আলী বলেন, গত সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। মিলমালিকদের কাছে বেশি দামে কিনে, বেশি দামে বেচি। এখানে কোনো কারসাজির সুযোগ নেই।
ফাতেমা রাইছ এজেন্সির মালিক রহমত মিয়া বলেন, মিলমালিকরা চালের দাম বাড়ানোর কারণে বাজারেও দাম বেড়েছে। ‘সবকিছু কন্ট্রোল করছে মিলমালিকরা। যখন তখন খেয়াল খুশিমতো যাতে এরা চালের দাম বাড়াতে না পারে, সেজন্য এদেরকে আটকানোর পথ একটাই; সরকারিভাবে ভালো চাল আমদানি করা এবং এদের মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে সে চাল বাজারে ছেড়ে দেওয়া।
সিন্ডিকেটের বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিপণন বিভাগের পরিচালক মো. আনিসুজ্জামান বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় বেশি ধান উৎপন্ন হয়। আমরা প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনি। সেটা থেকে চাল করে বাজারে ছাড়ি। নিয়মিত মনিটরিং করার পরও পাইকারি বাজারে চালের দাম কমছে না।
তিনি বলেন, চালের দাম বাড়ানোর বিষয়ে মিলমালিকরা দোষ দেন মিলমালিকদের। আর মিলমালিকরা দোষ দেন পাইকারী ব্যবসায়ীদের। মাঝখানে সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//