দিনাজপুর প্রতিনিধি :
দিনাজপুরের হিলিতে আমদানি ও সরবরাহ কমের অযুহাতে বেড়েছে ভারতীয় ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। আর এতে পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।
বৃহস্পতিবার সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, হিলি বাজারে ভারত থেকে আমদানিকৃত নাসিক জোট জাতের পেঁয়াজ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে ২৬ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে দেশীয় জাতের পেঁয়াজ কেজিতে ৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি দরে। আর এতে পেঁয়াজ কিনতে এসে বিপাকে পড়তে হচ্ছে পাইকারসহ সাধারণ ক্রেতাদের।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা সোবহান মন্ডল জানান, বাজারে এসে দেখি গত দুই দিনের থেকে পেঁয়াজের দাম একটু বেশি। ২৬ টাকার পেঁয়াজ চাচ্ছে ৩০ টাকা, ৩৬ টাকা কেজির পেঁয়াজ চাচ্ছে ৪০ টাকা। আমি পেঁয়াজ কিনতে এসে তো চরম বিপাকে পড়েছি।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার রহমত মিয়া বলেন, বন্দরে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণে এখান থেকে পেঁয়াজ কিনে আড়তে পাঠাতে পারছি না। কারণ কালকে কম দামে পেঁয়াজ কিনছি সেগুলো বিক্রি শেষ করতে পারিনি আজ বেশি দামে কিনলে লোকসান গুনতে হবে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল হোসেন বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে যে কারণে দাম একটু বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে আগের আইপি দিয়ে আমরা পেঁয়াজ আমদানি করছি যে কোন সময় সেটাও বন্ধ হতে পারে। সরকার আইপি দিলে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়বে। আর দাম বাড়ার যে বিষয়টি সেটা হলো ভারতেই আমাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে যে কারণে একটু দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমদানি বাড়লে দাম কমে আসবে বলেও জানান তিনি।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি মাসে প্রথম দুই কর্ম দিবসে ভারতীয় ৪৩ ট্রাকে ১ হাজার২০৬ মেট্টিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//