‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি’
মার্চ ১৭, ২০২২
শবে বরাতেও ক্ষমা পাবেন না যারা
মার্চ ১৭, ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে ‘গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা’ দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় সুরমা নদীর তীরের চাঁদনীঘাটে মুহিতের আজীবন সুকীর্তির স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সোনার তৈরি একটি ‘আলী আমজাদের ঘড়ি’র রেপ্লিকা ও ‘গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা’ ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এর আগে রাত ৮টায় আবুল মাল আবদুল মুহিত অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে সিলেট মহানগর পুলিশের বাদক দল তাকে অভ্যর্থনা জানায়। এরপর মঞ্চে মেয়র, কাউন্সিলরসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, আমি একান্তভাবে সিলেটের মানুষ। প্রাপ্তির একটি নিয়ম আছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা পেয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। নিজের জন্মস্থানে এমন একটি সম্মাননা গৌরবের। এই যে আমাকে সম্মান জানাচ্ছেন, আমি সেই মাহাত্ম্যের কাছে মাথা নত করি। আমার ভুলত্রুটি সব মাফ করে দেবেন।
অনুষ্ঠানে আবুল মাল আবদুল মুহিত তার বক্তব্যে নানা স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমরা ১৪ জন ভাই-বোন। আপনারা জানেন আমি এই দেশের বৃদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে একজন। এই বছরের জানুয়ারি মাসে আমার বয়স ৮৮ বছর হয়েছে। আমাকে দীর্ঘ জীবন দান করায় মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। এমন অনুষ্ঠানে কি বক্তব্য দেওয়া যায়? একটি হলো প্রস্তুতি নিয়ে বক্তব্য দেওয়া। আরেকটি হলো উপস্থিত পরিস্থিতি বিবেচনায় বক্তব্য প্রদান করা। আমি দ্বিতীয় পদ্ধতিটি অনুসরণ করলাম। এতে অবশ্য বেশি স্মৃতিচারণ করতে হয়। আমি স্মৃতিচারণ করতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করবো।
সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের উপাচার্য ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস। এ সময় অসুস্থতার কারণে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) বিধায়ক রায় চৌধুরী।
উল্লেখ্য, আবুল মাল আবদুল মুহিত (৮৮) বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করছেন। কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন তিনি। সম্প্রতি ঢাকার একটি হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় তাকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর গত সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট আসেন সিলেট-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//
