আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইউক্রেনে টানা ২৪ দিন ধরে রাশিয়ার আগ্রাসন চলছে। এতে বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে প্রতিদিনই দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে বহু ইউক্রেনীয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রায় ৩৩ লাখ ইউক্রেনীয় আশ্রয় নিয়েছেন। এবার এসব শরথার্ণীদের মধ্যে ১ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ নরওয়ে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) নরওয়েজিয়ান প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোয়ের দেশটির পার্লামেন্টে জানিয়েছেন, তার দেশ লক্ষাধিক ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্যই প্রস্তুত হচ্ছে।
নরওয়েতে এখন পর্যন্ত ২ হাজারের মতো শরণার্থী ঢুকেছে। সেখানে আরও ৫ হাজার ২৫০ শরণার্থী শিগগির প্রবেশ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দু’দিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
চলমান এই যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ২০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৮১৬ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেনে আনুমানিক ৫ থেকে ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//