আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরের সব ইউক্রেনীয় বন্দরে জাহাজ প্রবেশ কিংবা ছেড়ে যাওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) এ তথ্য জানায় ইউক্রেনের অবকাঠামো বিষয়ক মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণের পরপরই ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী তাদের বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল স্থগিত করে।
এদিকে, কিয়েভের কয়েকটি বাড়ি ও একটি শপিং সেন্টারে রাশিয়ার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮।
কিয়েভে কারফিউ জারি করেছেন শহরটির মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো।
সোমবার (২১ মার্চ) এক ঘোষণায় মেয়র বলেন, আজ রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
এর আগে শনিবার (১৯ মার্চ) কিয়েভের শহর কর্তৃপক্ষ জানায়, রাশিয়ার হামলার পর থেকে কিয়েভে ২২৮ জন নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য কয়েক বছর আগে আবেদন করে ইউক্রেন। মূলত, এ নিয়েই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর মধ্যে ন্যাটো ইউক্রেনকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় দ্বন্দ্বের তীব্রতা আরও বাড়ে। ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে যুদ্ধ শুরুর দুই মাস আগ থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখে মস্কো। কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে না আসায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। ঠিক তার দুদিন পর ২৪ তারিখ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে।
এ দিকে চলমান এই যুদ্ধে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়েছেন প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ। যুদ্ধে ইউক্রেনের ১৩শ’ সেনা নিহত এবং রাশিয়ার ১৪ হাজার ৭০০ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে তাদের প্রায় ৫০০ সৈন্য নিহত এবং ইউক্রেনের আড়াই হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘ জানিয়েছে, রুশ অভিযানে ইউক্রেনে ৯০২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সূত্র : আলজাজিরা
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//