ধর্ম ডেস্ক:
তওবা করলে কি সব রকমের গুনাহ মাফ হয়? তওবা করার নিয়ম কী?
আল্লাহর হক ও অধিকার সম্পর্কিত অপরাধের জন্য একনিষ্ঠভাবে তওবা করলে মাফ করে দেওয়া হয়। কৃত অপরাধের জন্য শরিয়তে যদি কোনো কাফফারা বা জরিমানা নির্ধারিত থাকে, তাহলে ওই কাফফারা ও জরিমানা পরিশোধ করতে হবে এবং নিজের ত্রুটি ও বিচ্যুতির জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আর যদি কৃত অপরাধের জন্য আর্থিক বা অন্য কোনো ধরনের কাফফারা নির্ধারিত না থাকে, তাহলে ৩টি কাজ করা জরুরি-১. গুনাহর কারণে লজ্জিত হওয়া। ২. আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। ৩. ভবিষ্যতে গুনাহ না করার প্রতিজ্ঞা করা।
তবে বান্দার অধিকার সংক্রান্ত গুনাহগুলো খুবই জটিল। যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দার হক আদায় না করা হবে অথবা বান্দা আন্তরিকতার সঙ্গে মাফ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তার গুনাহ মাফ হবে না। আমরা জানি আল্লাহর পথে জীবন উৎসর্গ করা অনেক বড় সওয়াবের কাজ। কিন্তু হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর পথে শহিদ হওয়ার দ্বারা সব গুনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু যদি কোনো শহিদের দায়িত্বে কারোর ঋণ বা পাওনা থাকে। এ ঋণ শহিদ ওয়ার কারণে মাফ হবে না। এ হাদিসের দ্বারা বান্দার হক-এর গুরুত্ব অপরিসীম তা সহজেই অনুমেয়।
তথ্যসূত্র : মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-৩৫১ও১৮৮৬, তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং-১৬৪০, কিতাবুল ফাতাওয়া, খণ্ড:-১,পৃষ্ঠা-৩২
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//এফ//