মেসেঞ্জারে আসছে নতুন ফিচার, দেখলেই চমকে উঠবেন
মার্চ ৩১, ২০২২
আওয়ামী লীগ কচুপাতার শিশির বিন্দু নয়: কাদের
মার্চ ৩১, ২০২২

মেট্রোরেলে আরও ১ হাজার ৩৫০ কোটি দেবে জাপান

স্টাফ রিপোর্টার:
মেট্রোরেলে নির্মাণ কাজে আরও ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা ঋণ দেবে জাপান। ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতিতে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ছিল জাইকার। বাড়তি ঋণ যুক্ত হওয়ায় জাইকার মোট ঋণ দাঁড়াচ্ছে ১৭ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা। মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে এই ঋণের টাকা খরচ করা হবে। এরমধ্যে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের মধ্যে এ ঋণচুক্তি সই হয়েছে। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির মধ্যে এই বিষয়ে বিনিময় নোট চুক্তিসই হয়েছে। জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ ইউহো হায়াকাওয়ার সঙ্গে ঋণচুক্তি সই হয়।

জাইকার মাধ্যমে দেওয়া জাপান সরকারের এই ঋণে সুদহার ০ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ (এই সময়ে ঋণের কোনো কিস্তি দিতে হবে না) ৩০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

যানজট থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটারের মেট্রোরেল নির্মাণ কাজ চলছে।

প্রথম মেট্রোরেল বা এমআরটি-৬ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত, অনুমোদিত ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা, যা মতিঝিল পর্যন্ত যাওয়ার কথা ছিল। মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত নেওয়ায় প্রকল্পের কাজ বেড়ে গেছে। ব্যয়ও বেড়েছে।

প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধন প্রস্তাবে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৯২ লাখ টাকা। জাইকার ঋণের বাইরে সরকারি তহবিল থেকে ১৩ হাজার ৭৯৬ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

১ জুলাই ২০১২ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২৪ মেয়াদে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। প্রকল্পের কাজের পরিধি বাড়ছে। সে জন্য পুরো প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে আরও প্রায় এক বছর বেশি সময় লাগবে। সেক্ষেত্রে মেট্রোরেল প্রকল্পটি শেষ করতে সময় লাগবে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ ১ বছর ৬ মাস বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরামর্শক নিয়োগে ১৩৫ কোটি, ইউটিলিটি সংযোগে ১০ কোটি, লাইসেন্স ফি নবায়নে ১০ কোটি, ডিজিটাল আর্কাইভ সফটওয়্যার খাতে ৫০ লাখ, রোলিং স্টকস (মতিঝিল টু কমলাপুর) খাতে ৫০ কোটি ১৪ লাখ, সিভিল ওয়ার্কস (মতিঝিল টু কমলাপুর) খাতে ১১৬০ মিটার অন্তর্ভুক্তিতে ৭১৪ কোটি ৫৬ লাখ, স্টেশন প্লাজা নির্মাণে ৯২ কোটি ৮০ লাখ ও বৈদ্যুতিক বিল খাতে ২০০ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগারগাঁও পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করে আগামী ডিসেম্বরে এই অংশ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//এফ//

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *