টমেটো চাষে রাসেলের ভাগ্য বদল
এপ্রিল ১৬, ২০২২
সুনামগঞ্জে বাড়ছে নদীর পানি, কাঁচা ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষক
এপ্রিল ১৬, ২০২২

ঈদে শিশুদের পোশাকের বাড়তি দাম

স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর মৌচাক এলাকার ফরচুন শপিং মলে বেচাকেনা শুরু হলেও সেভাবে জমে ওঠেনি। ক্রেতাদের অভিযোগ, দামের সঙ্গে শিশুদের পোশাকের মানের সামঞ্জস্য নেই। আর বিক্রেতারা বলছেন, ১০ রোজার পর অন্যান্য বছর যেভাবে ঈদ মার্কেট জমে ওঠে এবার সেভাবে হয়নি। আর পোশাকের সরবরাহ কম থাকায় দাম একটু বাড়তি।

শাজাহানপুর থেকে মতিউর রহমান নামে একজন ঈদের কেনাকাটার জন্য তার স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে এসেছেন ফরচুন শপিং মলে। তিনি বলেন, এর আগেও এই মার্কেটে এসেছি। ঈদে শিশুদের পোশাকের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় কাপড়ের মান নেই। পোশাক কিনতে গিয়ে বাজেটে হিমশিম খাচ্ছি।
বোরকা পরিহিত এক মধ্যবয়সী নারীকে দেখা যায় তার এক শিশু সন্তানকে ঈদের পোশাক কিনে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দোকানে ঘোরাঘুরি করছেন। তিনি বলেন, প্রতি বছরই আমি আমার বাচ্চাদের জন্য ঈদের কাপড় কিনি। তবে এবার কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে।

সৈকত ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী মো. আশরাফুজ্জামান রাজিব। তার দোকানে অধিকাংশই শিশুদের পোশাক। তিনি বলেন, ঈদের বেচাকেনা শুরু হলেও আশানুরূপভাবে জমে ওঠেনি এখনো। অন্যান্য ঈদে ১০ রোজার পরপরই বাজার জমে ওঠলেও এবার তা হয়নি। পোশাকের দাম এবার একটু বাড়তি জানিয়ে তিনি বলেন, এবারে ক্রেতা কম, তবে সামনে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা তার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফরচুন শপিং মলের এক শিশু পোশাকবিক্রেতা বলেন, এবারের ঈদের বাজারে শিশুদের নতুন ডিজাইনের কোনো পোশাক আসেনি এখনো। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পোশাকের সরবরাহ কম।

‘আমরা নারায়ণগঞ্জসহ যেসব পাইকারি মার্কেট থেকে পোশাক কিনি তারা এবার পর্যাপ্ত ব্যাংক ঋণ সুবিধা না পাওয়ায় ঈদের পোশাক সরবরাহ কম, দামও বেশি। তবে বিদেশি পোশাকের চেয়ে দেশীয় পোশাকের সরবরাহ বেশি।’

এ বিষয়ে রাফি কালেকশনের মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, এখনো বেচাকেনা জমে উঠেনি। শিশুদের পোশাকের দাম আগের চেয়ে কিছুটা বাড়তি। ৮০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে শিশুদের দেশি-বিদেশি পোশাক পাওয়া যাচ্ছে এখানে।

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *