দেশে ফিরছেন ওবায়দুল কাদের
এপ্রিল ২৫, ২০২২
লোকবল নেবে আইপিডিসি ফিন্যান্স
এপ্রিল ২৫, ২০২২

রমজানের শেষ দশকে নাজাতের সন্ধান

ধর্ম ডেস্ক:

সকল কলুষতা, মলিনতা ও পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করা বা হওয়াই সিয়াম সাধনার মূল উদ্দেশ্য। রমজানের প্রথম দশক রহমতের, দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের, শেষ দশক নাজাতের। নাজাত মানে মুক্তি, মুক্তি পাওয়া, মুক্তি দেওয়া, মুক্ত হওয়া।

 

রমজানের শেষ দশকে মানুষ পাপ–পঙ্কিলতা, গুনাহ থেকে মুক্ত হবে; জাহান্নাম থেকে মুক্ত হবে; পাপের আকর্ষণ থেকে মুক্ত হবে; আল্লাহর আজাব ও গজব থেকে মুক্ত হবে এবং আসমানি জমিনি ও রুহানি জিসমানি (আত্মিক ও শারীরিক) রোগশোক, জরাব্যাধি থেকে মুক্ত হবে।

 

মানুষের কল্যাণের পথে রয়েছে তিনটি বাধাদানকারী শক্তি—জিন শয়তান, মানব শয়তান ও নফস শয়তান। বিষয়টি কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তুমি বলো, ‘আমি আশ্রয় নিই মানুষের প্রতিপালক, মানুষের মালিক, মানুষের মাবুদের (আল্লাহর) নিকট, প্ররোচনাদাতা খান্নাসের (শয়তানের) অনিষ্ট থেকে; যে মানুষের অন্তরে ওয়াছওয়াছা দেয়, সে জিন হতে ও মনুষ্য হতে (সুরা-১১৪ নাস, আয়াত: ১-৬)।’

 

অপর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘আর অবশ্যই আমি মানুষ সৃষ্টি করেছি এবং আমি জানি তাকে তার নফস যে বিষয়ে প্ররোচনা দেয় (সুরা-৫০ কাফ, আয়াত: ১৬)।’

 

রমজানে জিন শয়তানকে বন্দি করে রাখা হলেও মানুষ পাপাচার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হতে পারে না। এর থেকে মুক্তির জন্য প্রথমে ষড়রিপুর তাড়নামুক্ত থেকে হয়ে নফস শয়তানকে পরাভূত করতে হবে। দ্বিতীয়ত মনুষ্য শয়তানের প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্য অসৎসঙ্গ ত্যাগ করে সৎসঙ্গ অর্জন করতে হবে। এই দুটি সুসম্পন্ন হলেই জিন শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আত্মরক্ষা করা যাবে।

 

নাজাতের অর্থ হলো ওই সব দোষত্রুটি থেকে নিজেকে মুক্ত ও পবিত্র করা এবং সদ গুণাবলি অর্জন করে স্থায়ী মুক্তি নিশ্চিত করা, যাতে নফস মুৎমাইন্না অবস্থা থেকে পুনরায় লাউওয়ামা বা আম্মারার দিকে ফিরে না যায়।

 

মোহমুক্তি বা নাজাতের উপায় হলো তওবা ও ইস্তিগফার করা। তওবা মানে হলো পাপ ছেড়ে পুণ্যে মনোনিবেশ করা। ইস্তিগফার হলো কৃত অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পুনরায় পাপ না করার অঙ্গীকার করা। তওবা ও ইস্তিগফারের চমৎকার একটি মাধ্যম হলো ইতিকাফ। এতে বান্দা দুনিয়ার সব মোহ–মায়া–আকর্ষণ থেকে মুক্ত হয়ে একান্তভাবে আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে যায়।

 

আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর দিকে পালিয়ে আসো (সুরা-৫১ যারিয়াত, আয়াত: ৫০)।’

 

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর/

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *