১০ মাসেই রপ্তানির লক্ষ্য অর্জন
মে ১০, ২০২২
ফ্রিজে রাখা তরমুজ হতে পারে বিপজ্জনক!
মে ১০, ২০২২

আমে ভরপুর সাতক্ষীরার বাজার, কমেছে দাম

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পড়েছে সাতক্ষীরার আম বাজারে। ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে দ্রুত আম ভেঙে নিচ্ছেন। এতে বাজারে আমের সরবরাহ কয়েকগুণ বেড়েছে। সেই সঙ্গে আমের দামও কমেছে। এতে চাষি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

সাতক্ষীরার বড় বাজারের আমের আড়তের ব্যবসায়ী মেসার্স জান্নাতুল বাণিজ্য ভাণ্ডারের স্বত্বাধিকারী আব্দুল হামিদ জানান, ঝড়ের আতঙ্কে গাছ থেকে চাষিরা আম ভেঙে বাজারে নিয়ে আসছেন। বাজারে আমের দাম একেবারেই কমে গেছে। প্রতি মণ গোবিন্দভোগ আম বাজারে বিক্রি হয় ২৫০০ টাকা। সেই আম আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-১৯০০ টাকায়। এতে চাষিরা ও ব্যবসায়ী উভয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় গত বছর ৪ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর ৪ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। আবাদ বাড়লেও এ বছর ৫০ ভাগ গাছেই আম হয়নি। জেলায় ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার আমচাষি রয়েছে।

সাতক্ষীরার শিবপুর গ্রামের আম ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম শহরের বড় বাজারে আমের আড়তে ১০ মণ আম বিক্রি করতে এসেছেন। তিনি জানান, গাছ থেকে গোবিন্দভোগ আম সব ভেঙে নিয়ে এসেছি। শুনেছি ঝড় আসবে, সে কারণে আগেভাগেই ভেঙেছি। ঝড় হলে আমগুলো সব নষ্ট হয়ে যাবে।

ঝড়ের আতঙ্কে একইভাবে তালা সদরের খড়েরডাঙ্গা গ্রামের আম ব্যবসায়ী ইদ্রিস মোড়লও আম ভেঙেছেন। বড় বাজারে কম মূল্যে আম বিক্রি করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ঝড় আতঙ্কে গাছ থেকে আম পেড়ে ফেলেছি। দুই বছর করোনায় ক্ষতি হলো, তারপর গেল বছর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে হয়েছে। এ বছর ঘূর্ণিঝড় অশনি আতঙ্কে রয়েছে ব্যবসায়ীরা।
সাতক্ষীরার আম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বলেন, বাজারে এখন প্রচুর আম আসছে। সরকার নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এখন গাছ থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ আম ভেঙে নিচ্ছেন চাষিরা। ঝড় আতঙ্কে দ্রুত আম ভেঙে নেওয়ার ফলে দামও কমেছে। প্রতিদিন ১০-১২টি ট্রাকে করে আম যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আম্ফান, ইয়াস, করোনা এসব কারণে আম ব্যবসায়ীরা গত কয়েক বছর ধরে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ বছর এমনিতে আমের ফলন কম, তারপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আম ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, যেটুকু আমাদের কাছে তথ্য আছে এদিকে ঝড় হবে না। তবে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এখন ঝড় আতঙ্কে যদি আমচাষি বা ব্যবসায়ীরা গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে নেয়, সেখানে আমরা কী করতে পারি। তবে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//এফ//

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *