এসএসসি পরীক্ষা কখন হবে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী
জুন ২৬, ২০২২
বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি
জুন ২৬, ২০২২

টাকার জন্য মেয়েকে মেরে মাটিতে পুঁতে রাখেন বাবা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকায় ঝোপ থেকে মিনু আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের সৎবাবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছেন, টাকা না দেওয়ায় মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মাটিতে পুঁতে রাখেন সৎবাবা শফিকুল ইসলাম।

গতকাল শনিবার (২৫ জুন) রাত ১১টার দিকে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গত ২৪ জুন রাতে কুড়িগ্রাম থেকে শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরেরদিন শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য আসামি রিপন মিয়াকে একই দিন (শনিবার) বিকেলে ভালুকার জমিরদিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রিপন মিয়াকে রোববার (২৬ জুন) দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি কামাল হোসেন বলেন, শফিকুল ইসলামের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তিনি ভালুকায় বসবাস করতেন। বেশ কয়েক বছর আগে সৎ মেয়ে মিনুকে মেনে নিয়ে মাহমুদা আক্তারকে বিয়ে করেন শফিকুল। মাহমুদা আক্তার পোশাক কারখানায় চাকরি ও রফিকুল ভাঙারির ব্যবসা করতেন। মাহমুদা পোশাক কারখানায় চাকরি করে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা করেন। ওই টাকা দিয়ে মেয়ে মিনুর নামে ডিপোজিট করার পরিকল্পনা করে মা মাহমুদা। বিষয়টি শফিকুল জানতে পেরে মাহমুদা আক্তারের কাছে টাকা চান। তবে তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিকুল তার বন্ধু রিপনকে নিয়ে সৎ মেয়ে মিনুকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ৮ জুন মা মাহমুদা আক্তার বাড়িতে না থাকায় রাতে ঘুমন্ত মিতুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পাশের জঙ্গলে ফেলে দেন। পরদিন রাতে ওই মরদেহ একই এলাকার কারখানায় বাউন্ডারির ভেতরে নিয়ে মাটিতে পুঁতে রাখেন।

এদিকে, মিনুকে চাপা দেওয়া মাটি বৃষ্টির পানিতে সরে গিয়ে তার পা বের হয়ে আসে। এভাবে ১৭ দিন পার হলে মরদেহ পুরোটাই ভেসে উঠে। পরে স্থানীয়রা বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকালে মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।

এই ঘটনায় ওই দিন রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ভালুকা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলার প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিপন মিয়াকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সিটিনিউজ সেভেনডটকম//আর//

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *