স্টাফ রিপোর্টার:
রাত পেরোলেই ঈদুল আজহা। এ কারণে গত দুই দিনের তুলনায় সড়কে ঘরমুখো মানুষের চাপ কিছুটা কম। যারা এখনো বাড়ি ফিরতে পারেননি শেষ সময়ে তারা স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি যাচ্ছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানযট না থাকায় স্বস্তিতেই ঘরে ফিরতে পারছেন সেই সব ঘরমুখো মানুষ।
শনিবার (৯ জুলাই) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগং রোড বাস স্ট্যান্ড ও মদনপুর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি রয়েছে। তবে পুরো সড়কের কোথাও কোনো যানজট নেই বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ।
সড়েজমিনে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানারপার, চিটাগাংরোড, কাঁচপুর, মদনপুর, মোগড়াপাড়া ও মেঘনা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বেলা গড়ানোর সাথে সাথে সড়কে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেকটাই কমে এসেছে। যারা নানা কারণে এখনো বাড়ি যেতে পারেননি তারাও স্বজনদের সাথে ঈদ করতে সড়কে অপেক্ষমাণ রয়েছেন। তবে বিগত দিনের চেয়ে পরিবহনের চাহিদা ও ঘরমুখো যাত্রীদের সংখ্যা কমেছে চোখে পড়ার মতো।
কুমিল্লার গৌরিপুর এলাকার মো. মমিনুল ইসলাম (৩৬) বলেন, আজকে যানজট নেই, পাশাপাশি গাড়ির চাহিদাও নেই খুব একটা। গতকাল পরিবারের সবাইকে বাড়ি পাঠিয়েছি, চাহিদা মতো বাসে সিট পাইনি। আজ সিট ও গাড়ি রয়েছে তবে সেই অনুপাতে যাত্রীর চাপ কম তাই পছন্দ মতো সিট পেয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শরফুদ্দীন বলেন, ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ। এ বছর সড়কে তেমন যানজট ছিল না। যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করছেন।
তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে সড়কে যান চলাচল পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক রয়েছে। ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশের কোথাও কোনো যানজট নেই। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে ঘরমুখো মানুষের চাপ ও পরিবহনের চাপ বেশ কমে এসেছে। দুপুরের পর এই চাপ আরও কমে যাবে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//