স্টাফ রিপোর্টার:
চামড়া নিয়ে কোন আশা দেখছেন না ক্রেতা-বিক্রেতারা। আগে কুরবানি ঈদকে নিয়ে গড়ে উঠত মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। এখন তা তো খুঁজে পাওয়া যায় না উল্টো চামড়া ব্যবসায়ীদেরও খুঁজতে হয় বিক্রেতাদের।
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ঈদের দিন চামড়া রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ পরিস্থিতিতে মাদ্রাসার ছাত্রদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না চামড়া দেওয়ার জন্য।
চামড়া ব্যবসায়ী জসিম জানান, চামড়া বিক্রিতে মানুষের তেমন আগ্রহ নেই। একটা চামড়া বিক্রি করতে রিকশা ভাড়া দিতে হয় দুই আড়াইশ টাকা। কিন্তু চামড়ার দাম পাওয়া যাবে ৫০০-৬০০ টাকা। আগ্রহ থাকবে কোথা থেকে। এ পর্যন্ত মাত্র ৬০টা চামড়া কিনেছি। আগের মতো পাড়া-মহল্লার চামড়া সংগ্রহ করে কেউ বিক্রি করতে আসে না।
চামড়া নিয়ে বসে থাকা আরিফ নামের একজন বলেন, চামড়াতো মহল্লা থেকে কিনে ফেলেছি। কিন্তু এখন বিক্রি করার জায়গা পাচ্ছি না। দামও পাচ্ছি না।
কোরবানিদাতা সুমন মিয়া বলেন, চামড়া কেনার কাউকে পেলাম না। এক মাদ্রাসা থেকে কয়েক জন এসেছে তাদের দিয়ে বেঁচেছি।
আব্দুর রহমান বলেন, দুপুরে কুরবানি দেয়ার পর থেকে কেউ চামড়া কিনতে আসেনি। এলাকায় চামড়া সংগ্রহের কাউকে পাওয়াও যায়নি। পরবর্তীতে চামড়াগুলো একজনকে দান করে দিয়েছি।
সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। এছাড়া খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ঢাকায় ১৮ থেকে ২০ টাকা, বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকার বাইরে ও ঢাকায় বকরি ও খাসির চামড়ার দাম একই থাকবে।
তবে কিছু যায়গায় বিক্রেতা এবং ক্রেতার সমাগম দেখা যায়। যা খুবই কম এলাকায়।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//