আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দাবানল ছড়িয়ে পড়ার পর স্পেনের বিভিন্ন শহরের মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। অ্যানন দে মনকায়ো শহর থেকে প্রায় দেড় হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফ্রান্স, গ্রিস, পর্তুগালের পর এবার দাবানল ছড়াচ্ছে স্পেনে। উত্তরপূর্বের শহরগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। সেখানে হাজার হাজার হেক্টর জমির বনভূমি পুড়িয়ে ছাই হয়ে গেছে। শুকনো আবহাওয়া ও ঝোড়ো বাতাসের ফলে দাবানলও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাওয়া খুব দ্রুতই গতি পরিবর্তন করছে। ফলে আগুন নেভাতে অসুবিধা হচ্ছে। তিনশতাধিক ফায়ার সার্ভিস দল ওই শহরে আগুন নেভাবার কাজ করছে।
অ্যানন দে মনকায়ো থেকে আগুন দ্রুতগতিতে শহর ও গ্রামের দিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে শুধু বনভূমি নষ্ট হচ্ছে তাই নয়, বাড়িঘর সব পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে।
বনবিভাগের স্থানীয় প্রধান বলেছেন, শনিবার আগুন লাগে এবং তা দ্রুত ৫০ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় আটটি গ্রাম থেকে লোকজন সরানো হয়েছে। তাদেরকে শহরের কাছাকাছি তিনটি স্পোর্টস সেন্টারে রাখা হয়েছে।
শুধু উত্তরপূর্বেই নয়, স্পেনের দক্ষিণপূর্বের এলাকাও দাবানলের কবলে পড়েছে। ২০০৬ সালের পর থেকে স্পেনে এত ভয়াবহ দাবানল আগে কখনো হয়নি।
ইউরোপীয় আর্থ অবসারভেশন সিস্টেম হিসাব করে দেখেছে, ২০২২ সালে দুই লাখ ৬০ হাজার হেক্টরের বেশি বন ও আবাসিক এলাকা দাবানলের কবলে পড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই বছর চারশোর বেশি দাবানল হয়েছে।
এই বছর সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল হয়েছে স্পেনে। দাবানলের পাশাপাশি তাপপ্রবাহ চলছে ও খরার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এবছর ফ্রান্স, গ্রিস ও পর্তুগালও দাবানলের কবলে পড়েছে।
ফ্রান্সে এক হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সেও দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ চলেছে। তবে বৃষ্টি হওয়ায় পর পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সৌজন্যে : ডয়চে ভেলে
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//