এবার আটা-ময়দার মূল্যবৃদ্ধি
আগস্ট ২০, ২০২২
নভোএয়ারে চাকরির সুযোগ
আগস্ট ২০, ২০২২

গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেবে জবি

জবি প্রতিনিধি
দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার তৃতীয় ও শেষ ধাপে আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‌‌’সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।

দেশব্যাপী চলমান গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি ভর্তি পরীক্ষার বাণিজ্য অনুষদভুক্ত এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত চলবে। এদিন সারা দেশের ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একযোগে পরীক্ষা হবে।

গুচ্ছভুক্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নাছিম আখতার জানান, ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ৪২ হাজার ১ শত ১০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। ১৯ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ২৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি করে উপকেন্দ্র রয়েছে। এরই মাঝে আসন-বিন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।

এদিকে ‌‌’সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১৮ হাজার ২৫ জন শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন৷ যা মোট আবেদনকারীর প্রায় ৪৩ শতাংশ। বাণিজ্য বিভাগের পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ‘সি’ ইউনিটের সমন্বয়কারী ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা।

অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা জানান, ‘সি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১২ হাজার ২৫ জন ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের অধীনে রাজধানীর দুটি উপকেন্দ্রেও আসন বিন্যাস করা হয়েছে। এগুলো হলো: ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত উইল্‌স্ লিট্‌ল্ ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ ও সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ। বাইরের দুইটি উপকেন্দ্রে সর্বমোট ৬ হাজার ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।

সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা নেয়ার জন্য যা কিছু করা দরকার সেভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক নজর রাখা, অসদুপায় অবলম্বন এড়াতে সর্বোচ্চ সজাগ দৃষ্টি রাখা, সন্দেহজনক হলে চেক করাসহ বেশ কিছু বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।

এরই মাঝে সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা যেন সহজেই নিজেদের আসন খুঁজে পান, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক বসানো হয়েছে। পূর্বের ইউনিটের পরীক্ষার মতো শনিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ফটক ও পোগোজ স্কুলের ফটকসহ মোট চারটি ফটক দিয়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পরীক্ষা আয়োজন কমিটির সদস্যদের পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডি সার্বক্ষণিক কাজ করবে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের আইটি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র কিংবা কেউ ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির ব্যাপারে সন্দেহ হলে সাথে সাথে ‘কুইক রেসপন্স টিম’ এর মাধ্যমে তথ্য পাওয়া যাবে। এই টিমের দায়িত্বে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের সহযোগী পরিচালক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ।

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন হবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। এতে মোট ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নেয়া হবে। পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে শূন্য দশমিক ২৫ নম্বর। পাশ নম্বর হবে ৩০। তবে বিভাগ পরিবর্তনের জন্য আলাদা কোনো পরীক্ষা নেয়া হবে না।

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ‘সি’ ইউনিটে প্রায় তিন হাজার ৭০টি আসন রয়েছে। সেই হিসেবে গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ১৪ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।

এর আগে ৩০ জুলাই ‘এ’ ও ১৩ আগস্ট ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দুটি ইউনিটের ফলাফলই ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে।

পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশাবলী

পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল সাড়ে ১১ টার মধ্যে স্ব স্ব কেন্দ্রে নিজস্ব আসনে বসতে হবে।

পরীক্ষার্থীরা বই, কাগজপত্র, ব্যাগ, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, ঘড়ি, ক্যামেরা, ট্যাব, এটিএম কার্ড বা ব্লুটুথ ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।

উত্তরপত্র অর্থাৎ ওএমআর শিট পাওয়ার পর উপরের অংশে পরীক্ষার্থীকে তার নাম বাংলা ও ইংরেজিতে এবং মা ও বাবার নাম সুস্পষ্টভাবে ইংরেজিতে লিখে নির্ধারিত স্থানে স্বাক্ষর করতে হবে। প্রবেশপত্র, উত্তরপত্র এবং অ্যাটেন্ডেন্স শিট-এর স্বাক্ষর অবশ্যই এক হতে হবে। প্রবেশপত্র অনুযায়ী রোল নম্বর নির্দিষ্ট জায়গায় লিখে সংশ্লিষ্ট বৃত্ত যথাযথভাবে ভরাট করতে হবে।

প্রশ্ন পাওয়ার পর পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিট-এ সর্বপ্রথম সেট কোড লিখে সংশ্লিষ্ট বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

রোল নাম্বার ও সেট কোডে ঘষামাজা অথবা কাটাকাটি করলে উত্তরপত্র সরাসরি বাতিল করা হবে।

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *