লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
অশ্লীল প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রিতা আক্তার (৩৪) নামে কমিউনিটি ক্লিনিকের এক প্রোভাইডার (সিএইচসিপি)।
সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে গত শনিবার এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের নছিয়ত উল্লার ছেলে। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক।
ভুক্তভোগী রিতা আক্তার লালমনিরহাট পৌরসভার সাপ্টানা উচাটারী এলাকার ইসরাফিলের স্ত্রী।
জানা গেছে, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে চাকরি করেন রিতা আক্তার। চাকরির সুবাদে প্রতিদিন কাশিপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে তাকে যেতে হয়। কর্মস্থলে যাওয়া-আসার এবং তার কর্মস্থলে গিয়েও ইভটিজিং করতেন যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠক করে ওই যুবলীগ নেতাকে আচরণ সংশোধনের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তিনি তার এমন কর্মকাণ্ড ঠিক না করে বরং ওই নারীর ওপরে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন।
পরে শনিবার রিতা আক্তার কর্মস্থলে গেলে একটি লোহার রড নিয়ে তার অফিসে গিয়ে পুনরায় অশ্লীল প্রস্তাব দেন ওই যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। সেটি প্রত্যাখ্যান করায় জোর করে রিতাকে শ্লীলতাহানী করেন আবুল কালাম আজাদ। এক পর্যায়ে মারধর শুরু করেন রিতাকে। পরে রিতা আক্তার চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রিতা আক্তার বাদি হয়ে যুবলীগ নেতা আবুল কালামের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। এখন অভিযোগ তুলে নিতে বাদির পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন বলেও জানান রিতা আক্তার।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত দায়। তবে বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//