সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত
আগস্ট ২০, ২০২২
গুচ্ছের ‘সি’ ইউনিটে ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেবে জবি
আগস্ট ২০, ২০২২

এবার আটা-ময়দার মূল্যবৃদ্ধি

মোঃ জাকির হোসেন:

অব্যাহত মূল্যস্ফীতির কারণে দম বন্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে ভোক্তাদের। চাল থেকে শুরু করে ডাল, ভোজ্যতেল, মাছ-মাংস, ডিমের দাম বেড়েছে অনেক আগেই। খুচরা বাজারে পেঁয়াজ, আদা-রসুন ও মসলাজাতীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দরে; বাড়ছে চিনির দাম; শিশুখাদ্যের দামও আকাশছোঁয়া। এর মধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে আটা-ময়দার দাম কেজিতে ৫-৭ টাকা নতুন করে বেড়েছে; আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১২-১৪ টাকা। ফলে নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতার দীর্ঘশ্বাস বেড়েই চলেছে; আয়ের সঙ্গে ব্যয় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে গরিব মানুষ। এখন বাজারে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ টাকায়, যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়, এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৫৪ টাকায়; আর গত বছর একই সময় বিক্রি হয়েছে ৩৬ টাকায়। এখন খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা ময়দা বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়, যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়; আর গত বছর একই সময় বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। সব শ্রেণির ভোক্তার কাছেই আটা-ময়দার চাহিদা রয়েছে। ফলে বাজারে দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে আটা-ময়দার বাজার আরও অস্থির করে তুলছে। বস্তুত অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে সব ধরনের নিত্যপণ্যের বাজারই অস্থির করে তুলেছে। জানা যায়, অস্বাভাবিক মূল্য বাড়িয়ে একটি চক্র ডিম ও মুরগির বাজার থেকে মাত্র দুই সপ্তাহে কয়েক শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। দুঃখজনক হলো, অসাধু ব্যবসায়ীরা তাদের ইচ্ছামতো নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির করে তুললেও বাজার তদারকি সংস্থাগুলোর তৎপরতা একেবারেই দৃশ্যমান নয়। অভিযোগ রয়েছে, বাজার পর্যবেক্ষণে জড়িত অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের যোগসাজশের কারণেই অসাধু ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন হলো, এসব ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নীরব কেন? অসহায় ক্রেতারা এখন অনেক জরুরি পণ্য না কিনেই বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে গণপরিবহণ সেক্টরেও চলছে ভয়াবহ নৈরাজ্য।

গত এক বছরে শুধু সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া অন্যদের বেতন বাড়েনি। শুধু তাই নয়, বেসরকারি খাতে কর্মরত বিপুলসংখ্যক কর্মীর বেতন কমেছে; অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। সম্প্রতি জীবনযাপনের প্রতিটি সেক্টরে অস্বাভাবিকভাবে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় দেশে বহু মানুষ মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারসাজি অব্যাহত থাকলে মানুষ বেঁচে থাকবে কী করে? যারা অতি মুনাফা করতে ভোক্তাদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত কঠোর শাস্তি দিতে হবে। জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, এমন পরিস্থিতি সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে, এটাই প্রত্যাশা।

মোঃ জাকির হোসেন, সম্পাদক, সিটিনিউজ সেভেন ডটকম

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *