প্রেম করে অশ্লীল ভিডিও ধারণ, প্রেমিকাসহ গ্রেপ্তার ৬
আগস্ট ৩০, ২০২২
সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে পূর্বানুমতির বিধান বাতিলের রায় স্থগিত
সেপ্টেম্বর ১, ২০২২

বিদেশি পার্সেলের প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ২

স্টাফ রিপোর্টার:
বিদেশি পার্সেলের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতকারী প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহিদুর রহমান নিশাদ (২৮) ও অপু আহম্মেদ (২৩)। তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদ নাম্বারসহ ইলেট্রনিকস ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।

সোমবার প্রতারক চক্রটির ওই দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি’র সাইবার ইনভেস্টিগেশনস এন্ড অপারেশনস বিভাগ।

বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম বলেন, চক্রের এক নারী সদস্য গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি কবির হোসেন (ছদ্মনাম) নামের একজনের ইমোতে ফোন দিয়ে বলেন, স্যার আপনি কবির হোসেন বলছেন? আমি ঢাকা ইমিগ্রেশন থেকে লামিয়া বলছি। আপনার নামে একটি বিদেশী পার্সেল এসেছে। যেহেতু যিনি এই পার্সেলটি পাঠিয়েছেন তিনি কাস্টমস ফি অপরিশোধিত রেখেছেন সেহেতু পার্সেলটি ছাড়াতে আপনাকে কাস্টমসের ফি বাবদ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। পার্সেলটি পাবার জন্য কবির হোসেন প্রতারক চক্রের দেয়া বিকাশ নম্বরে ৫০হাজার টাকা পাঠান ভুক্তভোগী।

দুই-তিন দিন পরে আবারও তাকে কাস্টমস অফিসার আরেফিন পরিচয়ে ভিন্ন একজন ইমো নাম্বারে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার নামে যে, পার্সেলটি এসেছে সেটি আমরা স্ক্যান করে অবৈধ ইউএস ডলার পয়েছি। আপনার নামে এখন মামলা হবে। এ কথা শুনে ভয় পেয়ে যান ভুক্তভোগী কবির। কাস্টমস অফিসার আরও বলেন, আপনি যদি মামলা খেতে না চান তবে কাস্টমস ফি বাবদ আরও দেড় লাখ টাকা দিতে হবে। পরে কবির প্রতারক চক্রের দেয়া কয়েকটি নগদ ও বিকাশ নম্বরে চক্রটির চাহিদা অনুযায়ী টাকা পাঠান।

কিছুদিন পর কাস্টমস অফিসার আরেফিন ইমোতে ফোন দিয়ে কবির হোসেনকে জানান, আপনাকে বাঁচাতে দিয়ে আমি বিপদে পরে গেছি। আমি বিপদে পরলে আপনিও বিপদে পরে যাবেন। এখন আপনার এবং আমার বিপদ হতে রেহাই পেতে আরও টাকা লাগবে।

কবির হোসেন তাদের কথায় গুরুত্ব না দিলে প্রতারক চক্রটি কৌশলে কবির হোসেনের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ইমেইলের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শন করে আরও টাকা চাইতে থাকে। ইমেইলের মাধ্যমে প্রতারক চক্রটি তাকে জানায়, অবৈধ ইউএস ডলার আনায় আপনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আপনি টাকা না দিলে আপনার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হবে। কবির হোসেন ভয় পেয়ে আরো দেড় লাখ টাকা পাঠায় প্রতারক চক্রের দেয়া নগদ নাম্বারে।

এভাবে গত প্রায় দেড় বছর ধরে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে কবির হোসেনের কাছ থেকে দশ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি। প্রতারক চক্রের ফাঁদে পরেছেন বুঝতে পেরে চলতি বছরের ২০ আগস্ট সিআইডি’র সাইবার পুলিশ সেন্টারে অভিযোগ করেন। এরই প্রেক্ষিতে তদন্ত করে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

সিটিনিউজ সেভেন ডটকম//আর//

 

rr
rr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *