এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পাইকারী বাজারে কমেছে দেশি কাঁচামরিচ ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি দেশি কাঁচামরিচ এক সপ্তাহ আগে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি ২৫ টাকা দরে এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। কাঁচামরিচের সরবরাহ এবং ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধির কারনে কমেছে দাম বছলেন ব্যবসায়ীরা। তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেকটাই কম বলেও জানান বিক্রিতারা।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেকটাই কমেছে। যার জন্য ১০ কেজি পেঁয়াজ কিনলাম। পেঁয়াজের মতো যদি সব নিত্যপণ্যের দাম কমে আসতো তাহলে আমাদের সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হতো।
হিলি বাজারে কাঁচামরিচ ক্রেতা ইয়াসিন আলী বলেন, দুই সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২০০ টাকা দরে কিনেছি। এক সপ্তাহ আগেও ৬০ টাকা দরে কিনেছি। বর্তমানে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে প্রতি কেজি দেশি কাঁচামরিচ কিনলাম। দাম অনেকটাই কমেছে। বাসাতে অনুষ্ঠান আছে যার জন্য ১৫ কেজি কাঁচামরিচ কিনলাম। তবে চাল, তেল এবং মসলার দাম অনেক বেশি। দিন দিন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
কাঁচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৩৫ টাকা কমে গেছে। দেশের বাজারে কাঁচামরিচের উৎপাদন বেশি হওয়ার কারনে সরবরাহ বেড়েছে। আমরা নওগাঁ, জয়পুরহাট থেকে কাঁচামরিচ কৃষকদের থেকে কম দামে ক্রয় করে হিলি বাজারে কম দামে বিক্রি করছি। তবে ক্রেতা সংখ্যা অনেকটাই কমে গেছে।
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাহাবুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম। প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে বর্তমানে ১৪ থেকে ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সামনে পূজার ছুটি হবে, যার জন্য আমদানি কারকরা বেশি করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন। অতিরিক্ত গরমের কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে। আমরা লোকসানের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ভারতীয় ৩৪ ট্রাকে ৮৫০ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে।
সিটিনিউজসেভেন ডটকম//আর//